ডাকসুতে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ১২:১৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ডাকসু নির্বাচনে সচেতন শিক্ষার্থী সংসদের জিএম প্রার্থী খায়রুল আহসান মারজান বলেছেন, দীর্ঘ ছয় বছর পর ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মাঝে এক উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। শিক্ষার্থীরা আশা করেছিলেন, এবারের নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য। এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিহাসের সর্বাধিক প্রার্থী অংশগ্রহণ করলেও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা ও প্রশাসনের নীরবতার কারণে নিরপেক্ষতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

খায়রুল আহসান মারজান বলেন, ‘একাধিক প্রার্থী প্রকাশ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও নির্বাচন কমিশন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটি নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের পক্ষ থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করা হয়

১. আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ: একাডেমিক ভবনের সামনে ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা প্যানেল ব্যানার টাঙানো এবং রাতের বেলা মেয়েদের হলে প্রচারণা চালানোসহ একাধিক স্পষ্ট লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদল ও শিবিরের প্রার্থীরাও ২৬ আগস্টের আগেই প্রচারণা চালিয়েছেন। এসব ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিরবতা উদ্বেগজনক।

২. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ: ক্ষমতাশালী ও অর্থশালী প্রার্থীদের কাছে কমিশনের দুর্বলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে নির্বাচন উৎসব নয়, প্রহসনে পরিণত হবে।

৩. ভোটকেন্দ্র বৃদ্ধি: ১৮টি হলের বিপরীতে মাত্র ৮টি ভোটকেন্দ্র পর্যাপ্ত নয়। বিশেষত কুয়েত মৈত্রী ও ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীদের জন্য সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানানো হয়।

৪. নারী ভোটারদের নিরাপত্তা: নারী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং অনলাইন ক্যাম্পেইনে সাইবার বুলিং বন্ধে প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।

৫. অবৈধ পোস্টার-ফেস্টুন অপসারণ: ক্যাম্পাসজুড়ে ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে, কিন্তু প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। অবিলম্বে এসব সরাতে হবে।

৬. সন্ত্রাসীদের প্রার্থী হওয়া বন্ধ করতে হবে: ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত জুলিয়াস সিজার ও তার সহযোগীদের প্রার্থী হওয়া অন্যদের জন্য নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে। অতীতে জুলিয়াস সিজারের হাতে শিক্ষার্থী ফরিদের ওপর নির্যাতনের উদাহরণ টেনে এনে তাদের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন এজিএস পদপ্রার্থী সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন। আর উপস্থিত ছিলেন প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইয়াসিন আরাফাত, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সমাজসেবা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, ক্যারিয়ার ও উন্নয়ন সম্পাদক শান্ত মিয়া, সদস্য মোহাম্মদ এরফান, মোহাম্মদ ইকরামুল কবির, ইলিয়াস তালুকদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আরএইচ/