নজরুলের ইসলামি চেতনার পাঁচটি কবিতা
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ১১:২১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের চলে যাওয়ার দিন আজ। বুধবার (২৭ আগস্ট) তাঁর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। বাংলা ১৩৮৩ সালের ১২ ভাদ্র এই দিনে (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সাহিত্যের এই কালজয়ী কবি।

কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক। তিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক ছিলেন।

অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে লেখার জন্য তখনকার ইংরেজ সরকার তার বেশ কয়েকটি বই বাজেয়াপ্ত করেছিল। বাজেয়াপ্ত করেছিল তার সম্পাদিত পত্রিকা। মুসলিম সমাজকে উদ্দীপ্ত করার জন্য লিখেছেন অসংখ্য ইসলামি কবিতা। সেখানে ফুটে উঠেছে ইসলামি চেতনা। এমনই পাঁচটি ইসলামি কবিতা এখানে তুলে ধরা হলো-

এক আল্লাহ জিন্দাবাদ

উহারা করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ;

আমরা বলিব, সাম্য, শান্তি, এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।

উহারা চাহুক সঙ্কীর্ণতা, পায়রার খোপ, ডোবার ক্লেদ,

আমরা চাহিব উদার আকাশ, নিত্য আলোক প্রেম অভেদ।

উহারা চাহুক দাসের জীবন, আমরা শহীদী দর্জা চাই;

নিত্য মৃত্যু-ভীত ওয়া, মোরা মৃত্যু কোথায় খুঁজে বেড়াই।

নয়া যমানা

বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা

শির উঁচু করি মুসলমান।

দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার

ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।

হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ

হে নামাজী! আমার ঘরে নামাজ পড় আজ।

দিলাম তোমার চরণ-তলে হৃদয় -জায়নামাজ।

আমি গুনাহগার বে-খবর,

নামাজ পড়ার ন্ই অবসর।

মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই

মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই

যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুন্তে পাই।।

আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,

পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।

আজাদ

কোথা সে আজাদ? কোথা সে পূর্ণ মুক্ত মুসলমান?

আল্লাহ ছাড়া করে না কারেও ভয়, কোথা সেই প্রাণ?

কোথা সে ‘আরিফ’, কোথা সে ইমাম, কোথা শক্তিধর?

মুক্ত যাহার বাণী শুনি’ কাঁপে ত্রিভুবন থরথর!

আরএইচ/