চাঁদাবাজি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রধান বাধা: ইসলামী আন্দোলন
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:৩৩ রাত
নিউজ ডেস্ক

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেছেন, দেশের উন্নয়নকে জিম্মি করে রাখা চাঁদাবাজি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রধান বাধা। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে আমরা উন্নয়নের নানা গল্প শুনেছি, কিন্তু এগুলো মূলত মিথ্যার ফুলঝুড়ি। গণঅভ্যুত্থানের পর আশাপ্রকাশ ছিলো, কিন্তু অতীতের সঞ্চিত অব্যবস্থাপনা ও নতুনভাবে চাঁদাবাজদের উৎপাতের কারণে দেশের বিনিয়োগ কার্যক্রম প্রায় থমকে গেছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও কমপক্ষে পৌনে পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। প্রতি চারজনের একজন এখন গরিব। আরও অনেকে এমন আর্থিক অবস্থায় রয়েছেন যে কোনো অসুস্থতা বা সংকটে গরিব হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। দারিদ্র্যতা দূর করতে কেবল জিডিপি আলোচনা নয়, সমতা, ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীনতা ও নাগরিক কল্যাণকে মূল প্রাধান্য দিতে হবে।”

বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের যুগ্মমহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পিআর বিষয়ে মন্তব্য আপত্তিজনক। বারবার “পিআর সংবিধানে নেই” বলে তিনি জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন কিনা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও সতর্ক ও নিরপেক্ষ আচরণ করবেন।

সাপ্তাহিক বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মকবুল হোসাইন, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামাল ও জি এম রুহুল আমীন, ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, সহ-অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খাঁন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন এবং ডা. শহিদুল ইসলাম।

এমএইচ/