কারাগার থেকে রাজপথে, জনগণের আস্থায় খান মনিরুল ইসলাম
প্রকাশ:
২৬ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:৫৬ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
দেশের রাজনীতিতে এক দৃঢ়চেতা নাম খান মনিরুল ইসলাম। বাগেরহাটের এই নেতার রাজনীতির হাতেখড়ি ছাত্রজীবনে। অল্প বয়সে ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। সাহস, সংগঠন দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণে দ্রুতই আলোচনায় আসেন। পরবর্তী সময়ে জাতীয় রাজনীতিতেও নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেন তিনি। অবিভক্ত ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে বিশেষ আস্থা অর্জন করেন। খালেদা জিয়ার পাশে থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে দলের ত্যাগী, নিবেদিত ও লড়াকু সৈনিক হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। রাজপথে আন্দোলন আর কারাগারে দীর্ঘ সাত বছরের বন্দিজীবন—সব মিলিয়ে রাজনীতির মাঠে তিনি সবসময় ছিলেন আপসহীন। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে বারবার সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন, স্বৈরাচারী শক্তির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দলের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তবে তার এই ত্যাগ-নিবেদন একসময় জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে মামলায় জেলে যেতে হয়। আগামী নির্বাচনে তিনি বাগেরহাট-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। তিনি আওয়ার ইসলামকে জানান, বাগেরহাট-২ আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় তিন লাখ, যার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ সংখ্যালঘু। মনিরুল ইসলামের দাবি, এলাকার উন্নয়নে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। সরকারি-বেসরকারি ফান্ড থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। তার ভাষায়—‘আমি আমার দিক থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি গরিব-দুঃখীদের পাশে থাকার।’ কচুয়ার সিএস পাইলট স্কুল থেকে এসএসসি, পিরোজপুর কলেজ থেকে এইচএসসি ও স্নাতক সম্পন্ন করা মনিরুল বর্তমানে জেলা বিএনপির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মনে করেন, তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও কাজের মূল্যায়ন দল করবে এবং তাকে মনোনয়ন দেবে। তার দাবি, ‘চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজির কোনো অভিযোগ আমার নামে নেই। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আমি জেল খেটেছি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে।’ পূর্বে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন থাকলেও বর্তমানে তা কমে তিনটি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি আসন কমানোর ফলে বাগেরহাটের মানুষ অনুন্নত জীবনযাপন করতে বাধ্য হবে। রাস্তা-ঘাটের যে বেহাল দশা, তা আরও খারাপ হবে। তাই বাগেরহাটবাসীর দাবি—চারটি আসন বহাল রাখতে হবে। আরএইচ/ |