আল্লামা সাঈদীর জীবন ও কর্মকে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:১২ সকাল
নিউজ ডেস্ক

বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জীবন ও কর্ম ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন ও খুলনার সিদ্দিকীয়া জামেয়া-ই-মাদানিয়া ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী।

শনিবার (২৩ আগস্ট) খুলনা নগরীর সিদ্দিকীয়া মহল্লাস্থ দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার হাজী শেখ আব্দুর রশিদ মিলনায়তনে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দ্বিতীয় শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এই কথা বলেন।

শামীম সাঈদী বলেন, আল্লামা সাঈদী আজীবন কুরআনের বাণী প্রচার ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা দিয়ে সরকার তাকে দীর্ঘ ১৩টি বছর কারাগারে আটকে রেখে অবহেলা করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। জীবিত থাকা অবস্থায় আল্লামা সাঈদীর ওপর বিচারের নামে অবিচার করা হয়েছে, এমনকি মৃত্যুর পর তার লাশের সাথেও নিষ্ঠুর আচরণ করেছে।

সাঈদীর ছেলে বলেন, শুধু আল্লামা সাঈদী নয়, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে শহীদ করা হয়েছে। এসব অবিচারের বিচার বাংলার মাটিতে হওয়া উচিত। যাতে আর কোনো নিরপরাধ মানুষ এভাবে বিচারিক জুলুমের শিকার না হন। আল্লামা সাঈদী সারা বাংলাদেশে তথা গোটা বিশ্বে কুরআনের তাফসির করেছেন, কুরআনের আলোকে জীবন গঠনে কাজ করেছেন, কুরআনের সমাজ বিনির্মাণের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, জীবনের শেষ মুহূর্তে আল্লামা সাঈদীর চিকিৎসা নিয়ে জাতি আজ সন্দিহান। কারণ যে চিকিৎসক আল্লামা সাঈদীর ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন করেছে, সে যদি এই আসামিকে তার হাতে পায় খুন করতে দ্বিধা করবে না। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত হওয়া উচিত। আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করে এদেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না।

শামীম সাঈদী বলেন, জাতীয় সংসদে পরপর দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও ক্ষমতা ও শক্তি দিয়ে নয় বরং উত্তম ব্যবহার, কথা ও কাজ দিয়ে জনগণকে যে মন্ত্রমুগ্ধ করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনে তিনি সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। এমনকি তিনি তার নিজ এলাকায় অমুসলিম জনগণের সমর্থন অর্জনে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছিলেন। অমুসলিমগণের নিকট তার অবস্থান ছিল মাতৃক্রোড়ে থাকার মতো নিরাপদ। জনগণের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা সম্পর্কে জাতীয় সংসদে তার বক্তব্য ছিল অভিভাবকসুলভ। সেই ঐতিহাসিক বক্তব্যসমূহ এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে। ইসলামের প্রচার-প্রসারে তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। তার জীবন ও কর্মকে সকলের কাছে তুলে ধরতে হবে।

আরএইচ/