কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে: পীর সাহেব মধুপুর 
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:২২ রাত
নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র উল্লেখ করে কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমির, পীরে কামেল মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর)।

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসা মিলনায়তনে আয়োজিত উলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস।

তিনি বলেন, আগামী ১৫ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলন সফল করতে সরকার, প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, মুফতি জসিম উদ্দিন হাটহাজারী, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মুফতি আব্দুল আউয়াল ডিআইটি, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, শায়খুল হাদিস মাওলানা হেলাল উদ্দিন, মুফতি জাফর আহমাদ ঢালকানগর, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি নূর হোসাইন নূরানী, মাওলানা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান (পীর সাহেব বাহাদুরপুর), মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ ফরিদী, মাওলানী আলী আহমদ চৌধুরী (পীর সাহেব চণ্ডিবর্দী), মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ রামপুরা, মুফতি সালাহ উদ্দীন দিলু রোড, হাফেজ মাওলানা হাসান জামীল, মুফতি মাসউদুল করীম, মুফতি মোহাম্মাদ আলী আফতাবনগর, মাওলানা রশিদ আহমদ মেরাজনগর, মুফতি খোরশেদ আলম কাসেমী, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মাওলানা ফজলুর রহমান গাজীপুর, মাওলানা আব্দুল কাইউম সুবহানী, মাওলানা আব্দুল লতিফ ফারুকী, মাওলানা লেহাজ উদ্দিন গাজীপুর, মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, মুফতি মুজিবুর রহমান হামেদী, মুফতি সাঈদ নূর, মুফতি আব্দুল বারী, মুফতি আবুল কাশেম আশরাফী, মুফতি মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী, মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহ নোমানী, মুফতি বিন ইয়ামিন সাদী প্রমুখ।

সম্মেলনে বক্তারা জানান, ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ কাদিয়ানিদেরকে আইনগতভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে। বাংলাদেশেও ১৯৮৫ সালের আইনে বিভ্রান্তিমূলক ধর্মীয় প্রচার নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু কাদিয়ানিরা নিজেদের মুসলমান পরিচয় দিয়ে মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্ত করছে, যা দণ্ডবিধি ২৯৫ ধারার পরিপন্থী।

এ সময় মহাসমাবেশ সফল করতে সাত দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—
১. দ্রুত জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন সম্পন্ন করা।
২. সারা দেশে একযোগে ঈমান রক্ষার লিফলেট বিতরণ।
৩. জুমার খুতবায় সচেতনতা তৈরি।
৪. অনলাইনে প্রচার চালানো।
৫. পোস্টার, হ্যান্ডবিল ও দাওয়াত কার্ড বিতরণ।
৬. ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে দাওয়াতি কার্যক্রম ও সফর।
৭. মহাসমাবেশে সর্বাধিক জনসমাগম নিশ্চিত করা।

এমএইচ/