পুষ্টিকর খাবার খেয়েও কেন স্বাস্থ্য বাড়ে না?
প্রকাশ:
১৮ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:১৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
আতহার তানিম আমাদের অনেকের শরীর চিকন, হাত-পা ছোট ছোট। যতই খাই এতে কোন পবির্তন তো দূরে থাক, কোন প্রভাবও পড়ে না। আবার আমাদের দাদি-নানিরা বলেন “বিয়ের পর সব ঠিক হয়া যাইব”, সত্যি সত্যি হয়ও। কী এর কারণ? এ ব্যাপারে কী বলছে বিশেষজ্ঞগণ? শরীরের গাঠনিক প্রকার আল্লাহ তায়ালা আমাদের শরীর তিনটি “বডি টাইপে” সৃষ্টি করেছেন: টাইপ ১. “এন্ডোমরফ্”। যেই শরীর সহজেই মোটা হয়ে যায়। ওজন কমানো বা শরীরের পেশী বাড়ানো কঠিন, তাকে “এন্ডোমরফ্” টাইপ বলে। এর সুবিধা হলো, তারা ব্যায়াম করলে অনেক শক্তির অধিকারী হয়। টাইপ ২. “মেসোমরফ্”। যে শরীর সহজে মোটা হয় না কিন্তু পর্যাপ্ত মাংসপেশি থাকে। যার কারণে স্বাস্থ্যসচেতন হলে অল্পতেই পেশীবহুল শক্তিশালী ও এন্ডুরেন্সের (ভারি কাজ দীর্ঘ সময় করার ক্ষমতা) অধিকারী হয়। টাইপ ৩. এক্টোমরফ্। যাদের শরীরে মেদ জমে না এবং মাংসপেশির ঘনত্বও কম। দেখতে চিকন ও পাতলা দেখা যায়। এই ধরণের শরীরের মানুষ হাই এন্ডুরেন্সের (ভারি কাজ দীর্ঘ সময় করার ক্ষমতা) অধিকারী হয়। এই দেহের অধিকারীরা সাধারণত বেশি খেলেও মোটা হয় না। শরীরের মেটাবলিজম বা বিপাকীয় প্রক্রিয়া ফাস্ট হওয়ার কারণে চর্বি জমে না, কিন্তু খারাপ খাবার-দাবার বেশি খেলে রক্তে সুগার বেড়ে যায়। যার কারণে সৃষ্টি হয় মরণব্যাধি সব রোগ। এই তিন ধরনের দেহের অধিকারীদের জন্য রয়েছে আলাদা খাবার ও ব্যায়ামের পদ্ধতি। অতিরিক্ত চিকন দেহের অধিকারীরা জিমে ভারোত্তলোন ব্যায়াম করলে তাদের পেশী ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। একই সাথে পর্যাপ্ত প্রোটিন (আমিষ) ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং কার্ব (চাল,আটা,গম,ভুট্টা) খেতে হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “skinny fat transformation” খুজলেই অসংখ্য মানুষের এই সমাধানের গল্প পাওয়া যাবে, যারা নিয়মিত ব্যয়ামের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও শক্তিশালি দেহ অর্জন করেছেন। বিয়ের পর কেন শরীর মোটা হয়? মূলত বিয়ের পর বড় কিছু অভ্যাস ও অবস্থার পরিবর্তনের কারণেই এই পরিবর্তন ঘটে। মোটা দাগে সেগুলো হলো- ১.খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: আত্মীয়-স্বজন ও নিজ বাড়িতে উন্নত ও তেল-চর্বিযুক্ত খাবারের আধিক্য। ২. মানসিক প্রশান্তি ৩.হরমোনাল পরিবর্তন ৪. শরীরের মেটাবলিজমের পরিবর্তন। মোটা হওয়া কি ভালো? এমএইচ/ |