ক্যানসার হাসপাতালের উন্নতিতে কোটি টাকা অনুদান দেবেন জামায়াত নেতা
প্রকাশ:
১৮ আগস্ট, ২০২৫, ০২:৪৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের উন্নয়নে এক কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী ডা. এস এম খালিদুজ্জামান। শনিবার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরীক্ষা-নিরীক্ষার (সিটি স্ক্যান, রেডিওথেরাপি) যন্ত্র বন্ধ থাকা এবং প্রশাসনের নানাবিধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এই ঘোষণা দেন। জামায়াত নেতা বলেন, ক্যানসার চিকিৎসার জন্য দেশের ৬৪ জেলা ও ৪৯৫ থানার মানুষ ভরসা করে ঢাকার এই জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটে আসে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রতিষ্ঠানটি নিজেই দুর্নীতিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সাতটি রেডিওথেরাপি মেশিনের মধ্যে মাত্র দুটি সচল, বাকি পাঁচটি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। রোগীরা চিকিৎসা পাবেন কোথা থেকে? তিনি অভিযোগ করেন, নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড—সবখানেই দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে। ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনামলে একজনের জীবনকাহিনি আরেকজন লিখে প্রমোশন পেয়েছে। ডাক্তার, নার্স, টেকনোলজিস্ট এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও নিয়োগে বৈষম্য করা হয়েছে। একটি বিশেষ জেলা থেকে লোক এনে ক্যানসার হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সংস্কার ও সংশোধনের নামে কিছু পরিবর্তন হলেও প্রকৃত প্রশাসনিক দুর্নীতি দূর হয়নি। ঢাকা-১৭ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী এই জামায়াত নেতা বলেন, কর্মচারীদের কোয়ার্টারেও বহিরাগতরা দখল করে আছে। সিরিয়াল বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে দালালচক্র। এমআরআই, সিটিস্ক্যান ও ন্যানোগ্রাম মেশিন নেই। রক্ত ব্যাংক এখনও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চলছে, যা অবশ্যই কম্পিউটারাইজড করতে হবে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা এভাবে জিম্মি হতে পারে না। ডা. খালিদুজ্জামান বলেন, আমাদের আমির ডা. শফিকুর রহমান চিকিৎসক হিসেবেই ঘোষণা দিয়েছেন—আমরা দুর্নীতি করবো না, দুর্নীতি সহ্য করবো না, বরং দুর্নীতি প্রতিহত করব ইনশাআল্লাহ। তার নেতৃত্বে আমরা শিশু হাসপাতালে রাতের ভোটের মতো অনিয়মে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬৫ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছি। ভবিষ্যতে সরকার গঠন করলে আমরা স্বাস্থ্য খাত থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি দূর করব। তিনি বলেন, এই হাসপাতালের দুর্নীতির একটি ক্ষুদ্র অংশ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। আসলেই দেশের স্বাস্থ্য খাত ক্যান্সারে আক্রান্ত। আমরা চাই রোগীরা যেন সেবা পান, আশা ভরসা নিয়ে যারা এখানে আসেন তারা যেন আর হতাশ না হন। সেই লক্ষ্যেই আজকের এই ঘোষণা। প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই জামায়াত নেতা বলেন, ক্ষমতায় গেলে দক্ষ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন, ব্লাড ব্যাংক ডিজিটালাইজেশন এবং পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের দেশেই চিকিৎসা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হবে। এসএকে/ |