জুমার দিন যখন মসজিদে গেলে বেশি সওয়াব পাবেন
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:৫৭ সকাল
নিউজ ডেস্ক

মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র, মর্যাদাপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ দিন হচ্ছে জুমার দিন। এই দিনকে আল্লাহ তায়ালা বিশেষভাবে সম্মানিত করেছেন। পৃথিবীতে সূর্য উদিত হওয়া দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বরকতময় দিন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং রাসুল (সা.) । শুধু তাই নয়, এই দিনে মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু করণীয়, যা পালন করলে মিলবে অপার সওয়াব ও পরকালীন সফলতা।

জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে কোরআন ও হাদিসে এসেছে অসংখ্য ফজিলতের কথা। তবে জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো, আজানের সঙ্গে সঙ্গে আগে আগে মসজিদে হাজির হওয়া। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে চলো এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম—যদি তোমরা বুঝতে পারো।’ (সুরা জুমআ : ৯)

এই আয়াতে আমাদের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, আজান হওয়া মাত্রই দুনিয়াবি কাজকর্ম বাদ দিয়ে আল্লাহর ঘরে চলে যেতে হবে। শুধু নামাজ পড়লেই হবে না, বরং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মসজিদে পৌঁছানোই কাম্য। কেননা, রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে এমন এক পুরস্কারের কথা বলেছেন, যা কোরবানির সওয়াবের সঙ্গে কেবল তুলনীয়। সহিহ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, কে আগে মসজিদে গেলো, সে অনুযায়ী তার সাওয়াব নির্ধারিত হয়। কেউ পায় উট কোরবানির সাওয়াব, কেউ গরু, কেউ ভেড়া, আবার কেউ মুরগি কিংবা ডিম কোরবানির সাওয়াব!

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) এরশাদ করেন,‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মতো গোসল করে এবং প্রথম প্রহরে মসজিদে যায়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল। দ্বিতীয় প্রহরে গেলে গরু কোরবানির সওয়াব, তৃতীয় প্রহরে গেলে ভেড়া, চতুর্থ প্রহরে গেলে মুরগি এবং পঞ্চম প্রহরে গেলে ডিম কোরবানির সওয়াব পাবে। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে মিম্বারে ওঠেন, তখন ফেরেশতারা আর আমল লিখেন না, তারা খুতবা শুনতে থাকেন। (বুখারি)

অর্থাৎ, জুমার দিন যত আগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া যায়, সওয়াবও তত বেশি পাওয়া যাবে। মসজিদে দেরি করে গিয়ে নামাজে শরিক হওয়া গেলেও, আগেভাগে না আসার কারণে অমূল্য সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যেতে হয়।

সৌভাগ্য অর্জনে আমাদের যা করণীয়-

  • ১.জুমার দিন সূর্য ওঠার পর থেকেই নামাজের প্রস্তুতি নিতে শুরু করা
  • ২. গোসল করে পরিচ্ছন্ন পোশাক পরা
  • ৩. আজান হওয়ার আগেই মসজিদে গিয়ে ইবাদতের নিয়তে বসা
  • ৪. ইমামের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা
  • ৫. নামাজ শেষে বেশি বেশি দোয়া, জিকির ও ইস্তিগফার করা
  • ৬. জুমার দিনের বিশেষ মুহূর্তে (আসর থেকে মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ে) দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট নিজের প্রয়োজন পেশ করা

এমএম/