ইসরায়েলি বন্দিদের সহায়তা পৌঁছে দিতে শর্তসাপেক্ষে সম্মতি হা/মা/সের
প্রকাশ:
০৪ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৪৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
গাজার বন্দি ইসরায়েলিদের কাছে খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিতে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটিকে (আইসিআরসি-ICRC) -কে অনুমতি দিতে প্রস্তুত হামাস। এ ঘোষণাটি এসেছে এমন সময়, যখন বন্দিদের দুর্দশার ভিডিও সামনে এসেছে এবং গাজায় লাখো ফিলিস্তিনি চরম দুর্ভিক্ষে দিন পার করছেন। সুত্র: আল জাজিরা। গত সপ্তাহে হামাসের হাতে বন্দি থাকা দুটি ইসরায়েলির কঙ্কালসার ব্যক্তির ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। রোববার (৩ আগস্ট) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জেনেভাভিত্তিক রেড ক্রসের কাছে গাজার বন্দিদের জন্য জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানোর অনুরোধ জানান। এরপরই হামাসের সামরিক শাখা জানায়, তারা এই অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিতে প্রস্তুত, তবে কিছু শর্ত থাকবে। রোববার (৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে কাসেম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু ওবাইদা বলেন, “বন্দিরা যা খাচ্ছে, আমাদের যোদ্ধারা এবং জনসাধারণও তাই খাচ্ছে।” তিনি জানান, কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না কারণ জনগণ সকলেই অবরোধ ও ক্ষুধার শিকার। তবে, মানবতার পরিচয় দিয়ে বলেন, “রেড ক্রস যদি বন্দিদের কাছে খাবার ও ওষুধ পৌঁছাতে চায়, তাহলে আমরা তা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করব।” তবে হামাস স্পষ্ট করে জানায়, তাদের এই সহযোগিতা তখনই বাস্তবায়নযোগ্য হবে, যদি গাজার সকল অঞ্চলে মানবিক সহায়তার স্বাভাবিক এবং স্থায়ী করিডোর খোলা হয়। একই সঙ্গে বন্দিদের প্যাকেজ পৌঁছানোর সময় ইসরায়েলি বিমান হামলা বন্ধ রাখতে হবে। রেড ক্রস রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, তারা বন্দিদের দুর্দশাজনক অবস্থার ভিডিও দেখে “মর্মাহত ও স্তব্ধ”। আইসিআরসি এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “এই ভিডিওগুলো প্রমাণ করে বন্দিরা জীবনহানিকর অবস্থায় রয়েছে এবং তাদের দ্রুত সহায়তা দরকার।” এবং তারা আরও জানায়, ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের পর থেকে তারা আর কোনো ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েলের জেলে গিয়ে দেখতে পারেনি। এছাড়াও রেড ক্রস জানায়, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহরের একটি স্পষ্টভাবে চিহ্নিত ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (PRCS) ভবনে হামলা চালিয়ে এক কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, যা তাদের গভীরভাবে হতবাক করেছে। যদিও তারা এই হামলার জন্য সরাসরি কোনো পক্ষকে দায়ী করেনি, তবে পিআরসিএস (PRCS) দাবি করেছে, এটি ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা। ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, নেতানিয়াহুর “সামরিক সমাধানের” ওপর জোর দেওয়া তাদের সন্তানদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে। তারা আরও বলেন, ২২ মাস ধরে মানুষকে এই আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে যে, সামরিক চাপে বন্দিরা ফিরবে, অথচ এখনো চূড়ান্ত কোনো চুক্তি তো হয়নি বরং সরকার বলছে চুক্তি অবান্তর। এদিকে গাজার মিডিয়া অফিস জানায়, শনিবার (২ আগস্ট) মাত্র ৩৬টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে, যখন ২২,০০০ ট্রাক এখনো বাইরে অপেক্ষায়। জাতিসংঘ জানায়, গাজায় ১০ লাখ নারী ও মেয়ে বর্তমানে চরম ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। এমএম/ |