ইসলামে ভ্রমণ—জ্ঞান, ভাবনা ও সৃষ্টিকর্তার নিদর্শন দেখার আমন্ত্রণ
প্রকাশ:
৩১ জুলাই, ২০২৫, ০৮:২৩ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ইসলামে ভ্রমণ শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং তা জ্ঞানার্জন, আত্মউন্নয়ন ও আল্লাহর সৃষ্টির নিদর্শন উপলব্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কুরআনের বহু আয়াতে মানুষকে পৃথিবীতে বিচরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন— “তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো, অতঃপর দেখো কেমন ছিল পূর্ববর্তী জাতিসমূহের পরিণাম।” (সূরা আনআম, আয়াত ১১) এই আয়াত আমাদের উৎসাহিত করে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে, জাতিসমূহের উত্থান-পতনের কারণ বুঝতে। |আরেক জায়গায় বলেন, “তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো কেমন করে আল্লাহ সৃষ্টি শুরু করেছেন।” (সূরা আনকাবুত: ২০) ভ্রমণ ইসলামের নবী ও সাহাবিদের জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নবী মুহাম্মদ (সা.) স্বয়ং হিজরতের মাধ্যমে ইসলাম প্রচারে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেন। সাহাবিরা দাওয়াতি মিশনে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি ও কুদরতের পরিচয় পায়, নতুন জাতি, সংস্কৃতি ও জ্ঞান সম্পর্কে অবগত হয়, আত্মসমালোচনা ও নিজের অবস্থান উপলব্ধি করে। ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ ইতিহাস জানে এবং ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। ভ্রমণের মাধ্যমে দাওয়াহ বা ইসলাম প্রচার সহজ হয়। সর্বোপরি রুহানিয়াত বা আত্মিক উন্নয়ন ঘটে। তবে ইসলামে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু আদব ও শর্ত রয়েছে— উদ্দেশ্য হতে হবে হালাল, শালীনতা বজায় রাখতে হবে, নামাজ ও ইবাদতের প্রতি যত্নবান হতে হবে। সুতরাং, ভ্রমণ শুধু বিনোদন নয়, এটি হতে পারে আত্মিক জাগরণ ও ইবাদতের এক নতুন দিগন্ত। ইসলাম এভাবে ভ্রমণকে করে তোলে এক মহৎ ও অর্থবহ অভিজ্ঞতা। এমএইচ/ |