খাবার খাওয়ার পর ভুলেও এই ৫টি কাজ করবেন না, হতে পারে মারাত্মক বিপদ!
প্রকাশ:
২৯ জুলাই, ২০২৫, ০৭:৪০ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
খাবার খাওয়ার সময় আমরা সাধারণত কী খাওয়া উচিত, কী নয়—তা নিয়ে সচেতন থাকলেও খাবার খাওয়ার পরের কিছু অভ্যাস আমাদের অজান্তেই শরীরের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এ ধরনের কিছু কাজ হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে, শরীরে পুষ্টি শোষণে বাধা দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদে জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। এই সাধারণ ভুলগুলো এতটাই প্রচলিত যে, অনেকেই এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবগত নই। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাবার খাওয়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করা উচিত নয়: ১. খাবার খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়া বা ঘুমিয়ে যাওয়া কেন ক্ষতিকর: খাবার খাওয়ার পর শুয়ে পড়লে হজমব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এতে পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে ফিরে আসতে পারে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা বুক জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করে। দীর্ঘমেয়াদে এটি GERD (গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ)-এর ঝুঁকি বাড়ায়। খাবার খাওয়ার অন্তত ২–৩ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যান। দিনে ভারী খাবারের পরও কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন বা সোজা হয়ে বসে থাকুন। ২. খাবার খাওয়ার পরপরই ফল খাওয়া কেন ক্ষতিকর: ফল সাধারণত দ্রুত হজম হয়। কিন্তু ভরাপেটে খেলে তা পাকস্থলীতে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশে গিয়ে গ্যাস, পচন ও বদহজমের কারণ হতে পারে। ফল খান খালি পেটে, অথবা খাবারের ২–৩ ঘণ্টা আগে বা পরে। ৩. খাবার খাওয়ার পর ধূমপান করা কেন ক্ষতিকর: ধূমপান এমনিতেই ক্ষতিকর, কিন্তু খাবারের পর এটি করলে নিকোটিনের শোষণ বেড়ে যায়। এতে রক্তনালী সংকুচিত হয় এবং হজমে বাধা পড়ে। পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। ধূমপান সম্পূর্ণভাবে পরিহার করুন। না পারলে অন্তত খাবারের পর কয়েক ঘণ্টা বিরত থাকুন। ৪. খাবার খাওয়ার পরপরই চা পান কেন ক্ষতিকর: চায়ে থাকা ট্যানিন আয়রনের শোষণ বাধাগ্রস্ত করে, বিশেষত যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর। চা পান করুন খাবারের অন্তত ১ ঘণ্টা আগে বা পরে। ৫. খাবার খাওয়ার পর গোসল করা কেন ক্ষতিকর: খাবার পর গোসল করলে শরীরের রক্তপ্রবাহ ত্বকে বেশি চলে যায়, ফলে পাকস্থলীতে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এতে হজমব্যবস্থা ধীর হয়ে পড়ে এবং পেট ফাঁপা, অস্বস্তি বা বদহজম হতে পারে। খাবারের অন্তত ৩০–৬০ মিনিট পর গোসল করুন। এই ছোট ছোট ভুলগুলো এড়িয়ে চললে আপনার হজমব্যবস্থা হবে উন্নত, শরীর ভালোভাবে পুষ্টি শোষণ করতে পারবে এবং অনেক স্বাস্থ্য জটিলতা থেকেও আপনি রক্ষা পাবেন। সুস্থ ও প্রাণবন্ত জীবনযাপনের জন্য আজ থেকেই অভ্যাসগুলোতে পরিবর্তন আনুন। এনএইচ/ |