যারা পিআর চায়, তারা জানেই না পিআর কী: মির্জা ফখরুল
প্রকাশ: ২৬ জুলাই, ২০২৫, ০৩:৩৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি (পিআর) সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অবগত নয় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমানে দেশে এক ধরনের জটিল ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কিছু রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়, অথচ তারা নিজেরাই জানেন না এই পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে।

শনিবার (২৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশ আজ এক ভয়াবহ সংকটকাল অতিক্রম করছে। আমরা অপেক্ষা করছি গণতান্ত্রিক উত্তরণের সেই পথের জন্য, যেখানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।”

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ দেশের সর্বক্ষেত্রে যে ক্ষতি করেছে, তা দ্রুত পূরণ করা সম্ভব নয়। বিচার বিভাগ, আইন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য খাত—সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। পাশাপাশি, ১৫ বছর ধরে রাজনৈতিক নিপীড়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী দলগুলোর কাঠামোও নষ্ট করেছে।”

সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে 'ভিশন ২০৩০' ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তীতে, তারেক রহমান ২০২২ সালে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দেন, যার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন আনা সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “সংস্কার তাৎক্ষণিকভাবে হয় না, এটা একটা প্রক্রিয়া। আজ বললেই কাল ঘুষ বন্ধ হয়ে যাবে—এমন আশা বাস্তবসম্মত নয়। তবে এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে ঘুষ নেওয়ার সুযোগ না থাকে। আমলাতন্ত্র আজ উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

জনপ্রতিনিধিত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দেশ চালাতে হলে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দরকার। অথচ আমরা যখনই নির্বাচনের কথা বলি, বলা হয় বিএনপি কেবল নির্বাচন চায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—নির্বাচন ছাড়া প্রতিনিধিত্ব আসবে কোথা থেকে? সংসদে না গেলে জনগণের শাসনই বা কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে?”

বক্তব্যের শেষ দিকে দলের সততার গুরুত্ব তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “সততা ছাড়া বিএনপি জনগণের সামনে বিশ্বাসযোগ্যভাবে দাঁড়াতে পারবে না। আজকের পত্রপত্রিকায় যেসব খবর ছাপা হয়, তা বিএনপির আদর্শের সঙ্গে যায় না, শহীদ জিয়াউর রহমানের ভাবনার সঙ্গে যায় না। যারা বিএনপির রাজনীতি করবেন, তাদের আগে নিজেকে সৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”

এমএইচ/