ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় নয়, আমাদের দরকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা
প্রকাশ:
২৬ জুলাই, ২০২৫, ০২:১৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, জাতিসংঘের এই কার্যালয় শুধুই একটি অফিস নয়, বরং এটি একটি বিভ্রান্তিকর মূল্যবোধ, যা দেশের জাতীয় অখণ্ডতা, সাংস্কৃতিক জীবনধারা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বের ১৮টি দেশে জাতিসংঘ এ ধরনের কার্যালয় খুলেছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর পরিণতি শুভ হয়নি। এতে বলা হয়, “জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যানারে এক ধরনের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালানো হয়, যা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করে।” বিজ্ঞপ্তিতে তিনটি প্রধান শঙ্কা তুলে ধরে সাধারণ আলেম সমাজ বলছে, ১. চট্টগ্রাম অঞ্চল ও কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ঘিরে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দেশের অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। পূর্ব ইউরোপ ও দক্ষিণ সুদানের উদাহরণ তুলে ধরে তারা বলে, “একবার আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক প্রবেশ করলে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মারাত্মক চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে।” ২. ফিলিস্তিন, কাশ্মীর ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় জাতিসংঘের নিরবতা তুলে ধরে বলা হয়েছে, “সেসব অঞ্চলে কোনো কার্যালয় নেই, অথচ বাংলাদেশে তড়িঘড়ি করে অফিস খোলা হচ্ছে। এটি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতারই প্রতিফলন।” ৩. বাংলাদেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক রীতিনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে আলেম সমাজ। তারা মনে করে, “আন্তর্জাতিক আইন ও নীতির মাধ্যমে ধর্মীয় চেতনা ও সংস্কৃতিকে অবমূল্যায়ন করার কৌশল গ্রহণ করা হতে পারে।” সাধারণ আলেম সমাজ বলছে, “এই কার্যালয় শুধু একটি অফিস নয়, এটি একটি দর্শন ও মতবাদ, যা এ দেশের মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্ত করবে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে আমাদের সামাজিক ঐক্য ও আত্মপরিচয়কে ধ্বংস করবে।” তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ, আলেম সমাজ, এবং মূল্যবোধনির্ভর নাগরিক সমাজের উচিত এ ধরনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। সংগঠনটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “আমাদের দেশ, সমাজ ও সংস্কৃতি আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। জাতিসংঘ বা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা এ দায় নিতে পারে না।” আইএইচ/ |