জঙ্গি তকমা দিয়ে আলেমদের কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্র চলছে: ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী
প্রকাশ:
২৫ জুলাই, ২০২৫, ০৭:৪৩ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ইনজামামুল হক
রাজধানীর ঢাকার শাপলা চত্বরে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের প্রতিবাদে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের ব্যানারে এক সমাবেশ আয়োজিত হয়েছে।
মহাসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে তাহরিকে খতমে নবুয়ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির পীর ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের ওপর দমন-পীড়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। উলামায়ে কেরাম ও শরিয়াপন্থীদের জঙ্গি তকমা দিয়ে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্র চলছে।”
তিনি বলেন, “আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, সুবিচারভিত্তিক বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরা সবচেয়ে বেশি পরাধীন। গত ৫ আগস্টের ঘটনার পর আমরা আশা করেছিলাম নতুন একটি বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, যেখানে থাকবে না অন্যায়, সন্ত্রাস, কিংবা হানাহানি। অথচ আজ সেই স্বাধীন বাংলায় সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন আলেম সমাজ।”
ড. আব্বাসী অভিযোগ করেন, “জাতিসংঘের বিতর্কিত মানবাধিকার কমিশন ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করেছে—যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। আমরা জানি, এই কমিশন যুদ্ধবিধ্বস্ত ১৬টি দেশে কাজ করে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাধীন বাংলাদেশে কেন এই কমিশন?”
তিনি আরও বলেন, “মার্কিনপন্থী একটি চক্র বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে এবং জাতিসংঘ তাদের হাতিয়ার।”
ড. আব্বাসী আরও বলেন, “জিহাদ শব্দটিকে পশ্চিমারা ও তাদের অনুসারীরা ভুলভাবে তুলে ধরছে। জঙ্গি শব্দের অপপ্রয়োগ করে প্রকৃত ইসলামপন্থীদের দমন করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে দেশ রক্ষায় যুদ্ধ করেছেন, তারাও তো জঙ্গি অর্থে যোদ্ধাই ছিলেন।”
তিনি দৃঢ় ভাষায় বলেন, “যদি আর কোনো আলেমকে জঙ্গি তকমা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবো। জেলখানার ইট এক এক করে তুলে নেওয়া হবে। আর প্রথম আলোর মতো কিছু গণমাধ্যম ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজন হলে তাদেরও প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।”
সমাবেশ থেকে ৩টি প্রধান দাবি উত্থাপন করা হয়: ১। আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে ‘জঙ্গি’ তকমা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে ২। গ্রেপ্তারকৃত নিরপরাধ আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে ৩। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ঢাকায় কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে
মাওলানা মীর ইদরীসের সভাপতিত্বে ও মাওলানা শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ডা. শামসুল আরেফিন শক্তি, আহমদ রফিক, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনভীম আসিফ আদনান, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদ, আবু ত্বহা আদনান প্রমুখ।
জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি পল্টন ঘুরে শাপলা চত্বরে গিয়ে সমাবেশের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
|