ইসলামিক আমিরাত কোনও বিদেশী সামরিক উপস্থিতি সহ্য করবে না: মুত্তাকি
প্রকাশ: ২১ জুলাই, ২০২৫, ০৮:৫৮ সকাল
নিউজ ডেস্ক

আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বাগরাম বিমানঘাঁটিতে চীনের উপস্থিতি সংক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোম্যাসির স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ইসলামিক আমিরাত ও আফগান জনগণ তাদের ভূমিতে কোনও ধরনের বিদেশি সামরিক উপস্থিতি মেনে নেয় না। এটি আমাদের জাতীয় নীতির স্পষ্ট অবস্থান।”

মুত্তাকি আরও বলেন, “রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের এই বার্তাটি শোনা উচিত এবং অন্যান্য দেশগুলোকেও বুঝতে হবে—আমরা যখন কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলি, তা কেবল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকে। আফগানিস্তানে সামরিক ঘাঁটি বা সেনা উপস্থিতি নিয়ে কোনও আলোচনা আমরা করি না।”

রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইসলামিক আমিরাতকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “আমরা অঞ্চলভিত্তিক দেশগুলোকে—বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোকে—আমাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাই। গত তিন বছরে আমরা তাদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক ও কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রেখেছি এবং কোনো বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি। তাই স্বীকৃতির মাধ্যমে সম্পর্কের এ ধারা আরও জোরদার হওয়া উচিত।”

মুত্তাকি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায়। তিনি বলেন, “আমরা এমনকি তাদের সঙ্গেও ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই, যারা এখনো আমাদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয়—যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো।”

বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “আমাদের নেতৃত্ব এবং প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আইসিসির এই পরোয়ানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইসলামিক আমিরাত আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা স্বীকার করে না এবং তাদের সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানে প্রযোজ্য নয়।”

উল্লেখ্য, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি বর্তমানে চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রানওয়ে হিসেবে আমি বাগরামকে ধরে রাখতাম। এখন সেটি চীনের দখলে।”

এনএইচ/