হেফাজতের রাজশাহী জেলা ও মহানগরীর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
প্রকাশ:
১৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৮ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাজশাহী কাদিরগঞ্জের শাহ ডাইন কনভেনশন হলে এক প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হোসাইনাবাদ কাটা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জামাল উদ্দিন মাহমুদ সন্দিপী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী বশীরুল্লাহ। সম্মেলনে প্রধান অতিথি মুফতী বশীরুল্লাহ রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। তিনি উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সর্বসম্মতিক্রমে রাজশাহী মহাগরীর সভাপতি হিসেবে দারুল আরকাম রায়পাড়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আজমল হুসাইন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দড়িখরবোনা ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুস সবুর সিরাজী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রাণীবাজার মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলামকে মনোনীত করে ১০২ সদস্য বিশিষ্ট হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ - রাজশাহী মহানগরীর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। একইসাথে তিনি রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে মালোপাড়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাবেয়া বসরী (রহ.) মহিলা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইমরান উদ্দিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আবেদ আলী মাদানী মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আতিকুর রহমানকে মনোনীত করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট রাজশাহী জেলা কমিটি ঘোষণা করেন। নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে মুফতী বশিরুল্লাহ বলেন, ‘এই দায়িত্ব একটি আমানত, তাই সকলকে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। হেফাজতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধরে রাখতে হবে। তিনি কেন্দ্রীয় দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘শাপলা চত্বরের নির্মম হত্যাকান্ডে এবং জুলাই-আগষ্টের গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। গতকাল আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ -এর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলা ছিল— গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এদেশে আর কখনো যেন স্বৈরাচারী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে জন্য এখন-ই এই জালেমদের শেকড় উপড়ে ফেলা সময়ের অন্যতম দাবি ও জাতীয় চাওয়া। আমরা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সদা ফ্যাসিবাদ ও জুলুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম, আগামীতে-ও থাকবো, ইনশা-আল্লাহ।’ এ সময় রাজশাহী জেলা ও মহানগর হেফাজতের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা, দ্বীন ও দেশের রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার করছি। ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’ প্রতিনিধি সম্মেলনে রাজশাহীর বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতীব, মাদরাসার মুহতামিম ও শিক্ষকবৃন্দসহ অসংখ্য আলেম-ওলামা উপস্থিত ছিলেন। এমএম/ |