মাদরাসায় আরবির পাশাপাশি ইংরেজির ওপর জোর দিতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
প্রকাশ: ১৫ জুলাই, ২০২৫, ০৯:৪৯ রাত
নিউজ ডেস্ক

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদরাসায় আরবির পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা চর্চার ওপর জোর দিতে হবে। এ ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন করতে পারলে শিক্ষার্থীরা বহির্বিশ্বের উপযোগী হয়ে উঠবে এবং দেশে-বিদেশে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রামের পটিয়ায় শাহচান্দ আউলিয়া মাদ্রাসার সভাকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষা শিখলে ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, গবেষক, তথ্যপ্রযুক্তিবিদসহ বিভিন্ন পেশায় নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে পারবে। এ ভাষা জানা থাকলে শিক্ষার্থীরা আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান ও ইসলামের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারবে এবং ইসলাম ধর্মকে বিশ্বে তুলে ধরতে পারবে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাইফুদ্দিন খালিদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক সরকার সরোয়ার আলম, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী ফারহানুর রহমানসহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুরে চট্টগ্রামের পটিয়া শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদরাসা পরিদর্শন ও হজরত শাহচান্দ আউলিয়া মাজার জিয়ারতে যান ধর্ম উপদেষ্টা। 

সেখানে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আমি অতি আধুনিকতার বিপক্ষে। কারণ মাদরাসায় আলেম-ওলামা, বুজুর্গ-মোহাদ্দেস ও মোফাচ্ছির তৈরি হয়। এসব যদি মাদরাসায় তৈরি না হয়, তাহলে মাদরাসা একসময় স্কুল-কলেজ হয়ে যাবে। মাদরাসাগুলো আছে বলেই আমাদের মাথায় টুপি আর মুখে দাড়ি আছে। আজান দিলে আমরা মসজিদে যাই। এই মাদরাসাগুলোকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা আরবির ওপর জোর দিই। যে আরবি ও ইংরেজি জানবে সে তো ডলার হিসেবে বেতন নিতে পারবে। আমরা চাই, এসব মাদরাসা থেকে ভালো আলেম-ওলামা বের হয়ে আসুক। মাদরাসা আল্লাহ তায়ালার রহমতের মাধ্যমে এলাকা, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তন হয়ে যাবে। আলেমের মর্যাদা, কোরআন ও হাদিসের বাণী আমরা ছড়িয়ে দিচ্ছি। আমাদের যাতে ঐতিহ্য হারাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমি নিজে ঘুষ খাই না, আমার সামনে অন্য কেউ যদি ঘুষ খায় তাহলে তাকে ধরে ফেলব। সে যে-ই হোক, তাকে সঙ্গে সঙ্গে বদলি করে দেব। আমাদের মোরালিটি চা দোকানদার চা দিতে দেরি হচ্ছে তাকে মারা হয়, চাঁদা দিতে দেরি হচ্ছে তাকে পাথর দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, কেন। সরকার কি ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারবে। এত ওয়াজ-নসিহতের পরেও আমাদের নীতি-নৈতিকতার উন্নয়ন হচ্ছে না। আসুন, প্রথমে আমি ভালো হই, তারপর প্রিন্সিপাল, তারপর ইউএনও ভালো হবে। এরপর সামনে পেছনে যারা আছে তারাও ভালো হয়ে যাবে।

এমএইচ/