নতুন বাংলাদেশ গঠনে ৭ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান জামায়াত নেতা বুলবুলের
প্রকাশ:
১৪ জুলাই, ২০২৫, ০৯:৫৫ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
নতুন বাংলাদেশের ভিত্তিকে মজবুত করতে সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। রবিবার রাতে রাজধানীর পল্টনে জামায়াতে ইসলামীর থানা ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “বিগত ১৭ বছরের প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন, শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করলেই ছাত্র-জনতার আত্মদানে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।” নূরুল ইসলাম বুলবুল অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষতার পরিবর্তে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা পালন করছে। মিটফোর্ডে এক ব্যবসায়ীকে চাঁদার জন্য হত্যা করা হলেও পুলিশ তা তদন্ত শুরুর আগেই ‘ব্যবসায়িক বিরোধে’ হত্যার দাবি করছে। নিহত সোহাগের পরিবার অভিযোগ করেছে, মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে নিরপরাধদের আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এ ধরনের আচরণ যদি আওয়ামী শাসনামলে চলেও থাকে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও তা চলতে দেওয়া হবে না। পুলিশ, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।” নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর এই ৭ দফা জনগণের দাবি। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর তা সম্ভব হবে ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ সফল করার মধ্য দিয়ে।” তিনি দেশবাসীকে ঐ সমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। সম্মেলনের বিশেষ অতিথি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, “বড় দলের দাবিদার আওয়ামী লীগ এখন নিজ দলের কর্মীদেরই চাঁদাবাজির কারণে খুন করছে। খুন, বহিষ্কার ও পদত্যাগে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে।” তিনি বলেন, “যতদিন তারা সংস্কারে রাজি না হবে, ততদিন দেশে সন্ত্রাস-দুর্নীতি বন্ধ হবে না। এজন্যই তারা সংস্কার ছাড়াই একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটছে।” আরেক বক্তা, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “একটি ঘটনায় দলের ১১ জন বহিষ্কার করা হলেও প্রশাসন বলছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। প্রশাসনের এমন অবস্থান জনগণের আস্থা নষ্ট করছে। আগেও যেমন আওয়ামী লীগের প্রতি প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব করেছে, এখনো কারা সেই প্রভাব বিস্তার করছে, জনগণ তা জানে।” তিনি বলেন, “নিরপেক্ষতা প্রমাণ করুন, নয়তো আবারও ৫ আগস্ট ফিরে আসতে পারে।” সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পল্টন থানা আমির শাহীন আহমেদ খান এবং পরিচালনা করেন থানা সেক্রেটারি এডভোকেট মারুফুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান ও এনামুল হক, কাউন্সিলর পদপ্রার্থী খন্দকার আব্দুর রব, ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জরুল ইসলাম, মাওলানা এনামুল হক শামীম, মো. হাবিবুর রহমান, শামীম হাসনাইন, মোশাররফ হোসেন, আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে থানা পর্যায়ের শতাধিক দায়িত্বশীল নেতা অংশগ্রহণ করেন। এসএকে/ |