ভারতে বাংলায় কথা বললেই ‘বাংলাদেশি ট্যাগ’ লাগিয়ে আটক
প্রকাশ:
১৩ জুলাই, ২০২৫, ১১:২৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলা ভাষায় কথা বললেই মানুষকে 'বাংলাদেশি' তকমা দিয়ে আটক বা পুশব্যাক করার ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা অভিযোগ করেছেন, আসাম, ওড়িশা, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও দিল্লিসহ একাধিক রাজ্যে বাংলা ভাষাভাষীদের নিশানা বানানো হচ্ছে। শুধু ভাষার ভিত্তিতে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে যেভাবে ধরপাকড় চলছে, তা সাংবিধানিক অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন। বাংলায় কথা বলার অপরাধে পানি-বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন’ দিল্লির বসন্তকুঞ্জ এলাকার ‘বাঙালি পাড়া’ হিসেবে পরিচিত অঞ্চলে বাংলায় কথা বলার কারণে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার ঘটনাও দেশটির সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাভাষীদের চিহ্নিত করে হয়রানির ঘটনাও বেড়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সম্প্রতি বলেন, জনগণনায় কেউ যদি বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে উল্লেখ করেন, তাহলে তাকে ‘বিদেশি’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠালেন মমতা পরিস্থিতির গুরুতরতা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও চলতি বাদল অধিবেশনে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তিনি একই অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, “বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি ট্যাগ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে।” ওড়িশায় সাড়ে ৩শ’ বাঙালিকে আটক ওড়িশা রাজ্যে গত কয়েকদিনে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা বাংলায় কথা বলেন। এই ঘটনায় বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী বহু ভারতীয় নাগরিককে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে পুশব্যাক করার অভিযোগ উঠে এসেছে, যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে মানবাধিকার ও ভাষা-সচেতন মহলে। এনএইচ/ |