ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব খাবার
প্রকাশ:
১৩ জুলাই, ২০২৫, ১১:০১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার একটি ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই রোগের পেছনে যেমন বংশগত কারণ রয়েছে, তেমনি দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসও ক্যান্সার সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কিছু খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীরে ক্যান্সার কোষের জন্ম ও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নিচে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে: প্রক্রিয়াজাত মাংস (Processed Meat) সসেজ, হটডগ, সালামি, বেকন বা প্রিজারভড মাংসজাত পণ্যে উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম, নাইট্রেট ও প্রিজারভেটিভ থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) একে গ্রুপ-১ কার্সিনোজেন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে, যা কোলন ও পাকস্থলির ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত লাল মাংস (Red Meat) গরু, খাসি বা ভেড়ার মাংস অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার সঙ্গে কোলন, রেকটাল এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে বলে গবেষণায় জানা গেছে। বিশেষ করে গ্রিল বা বারবিকিউ করা মাংস শরীরে ক্ষতিকর যৌগ সৃষ্টি করে। উচ্চমাত্রার চিনি ও মিষ্টিজাত খাবার চিনি বা হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপজাত খাবার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং স্থূলতা ডেকে আনে। স্থূলতা অনেক ধরনের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত। ট্রান্স ফ্যাট ও অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার চিপস, বিস্কুট, প্যাকেটজাত নুডলস, ফ্রোজেন ফুড—এ ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা কেমিক্যাল ও ট্রান্স ফ্যাট শরীরে দীর্ঘমেয়াদে বিষক্রিয়ার মতো কাজ করে। এটি স্তন, প্রোস্টেট ও পাকস্থলির ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার বারবার ব্যবহার করা তেল, অতিরিক্ত তাপে ভাজা খাবার (যেমন: পুরি, সিঙ্গারা, ফাস্টফুড) অ্যাক্রিলামাইড নামে একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি করে, যা ক্যান্সারের জন্য দায়ী হতে পারে। কৃত্রিম রং ও সংরক্ষণকারীযুক্ত খাবার জেলি, আইসক্রিম, কোমল পানীয় বা বিভিন্ন রঙিন খাবারে ব্যবহৃত কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার দীর্ঘমেয়াদে দেহে টক্সিন জমিয়ে দেয় এবং ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল অ্যালকোহল পানের সঙ্গে মুখ, গলা, খাদ্যনালী, লিভার ও স্তনের ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে। নিয়মিত বা অতিরিক্ত সেবন রক্তে কার্সিনোজেনিক উপাদানের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কি করবেন প্রতিরোধে? প্রাকৃতিক ও তাজা খাবার গ্রহণ করুন। শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাপোড়া ও চিনি পরিমাণমতো সীমিত করুন। নিয়মিত শরীরচর্চা ও পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ধূমপান ও মাদক থেকে দূরে থাকুন। এনএইচ/ |