চাঁদাবাজি নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বেই খুন হন সোহাগ
প্রকাশ: ১২ জুলাই, ২০২৫, ০৪:৫১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডে নতুন তথ্য দিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, এটি চাঁদাবাজির ঘটনা নয় বরং ভাঙারি ব্যবসা ও দোকান ব্যবস্থাপনা নিয়ে পারস্পরিক বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত সোহাগ ও অভিযুক্তরা এক সময় একসঙ্গে ব্যবসা করতেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (১২ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

ডিসি জসীম বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে, ভাঙারি ব্যবসা এবং একটি দোকানে কারা ব্যবসা চালাবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সোহাগ ও অভিযুক্তরা একসময় একসঙ্গে ব্যবসা করলেও পরবর্তীতে আর্থিক লেনদেন ও আধিপত্য নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই দ্বন্দ্বই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ।”

ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, গত বুধবার বিকেল ৬টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

১১ জুলাই পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২) নামে দুই এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে। রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে, র‍্যাবের অভিযানে আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে ছোট মনির (২৫) নামের আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া শুক্রবার রাতে কোতয়ালী থানা পুলিশ মো. টিটন গাজী (৩২) নামে আরও একজন এজাহারভুক্ত আসামিকে আটক করে।

ডিসি জসীম বলেন, “এই ঘটনায় পুলিশ খুবই তৎপর রয়েছে। হত্যার পেছনে প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনতে একটি দক্ষ তদন্ত দল কাজ করছে। মামলার অগ্রগতি এবং অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

এমএইচ/