ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি: কী ভাবছে দেশগুলো
প্রকাশ: ১১ জুলাই, ২০২৫, ০৫:৩৪ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

গেল সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুনভাবে পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে তা বাস্তবায়নের সময়সীমা ১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। প্রথমে ১৪টি ও পরে গতকাল আরও ৭টি দেশকে এ বার্তা পাঠিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে না পারলে তাদের ওপর নতুন হারে শুল্ক বসবে।

এ পরিস্থিতিতে যেসব দেশকে ট্রাম্প চিঠি দিয়েছেন বা যাদের এখনো দেননি, তারা সবাই কমবেশি চেষ্টা-তদবির করছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের এই উচ্চশুল্কের খড়্গ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাস্তবতা হচ্ছে, এই দফায় কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি। এর আগে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা যেমন করেছে, এবার কাউকে তা করতে দেখা যায়নি। খবর আল জাজিরা।

পাশাপাশি ওয়াল স্ট্রিট বা যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাতের প্রতিক্রিয়াও তেমন তীব্র কিছু নয়, বরং তারা যেন ধৈর্যের খেলা খেলছে। বাজারের ধারণা হয়েছে, ট্রাম্পের হুমকি হয়তো কখনোই পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে না। সোমবার ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে সূচকের পতন হলেও বাজার পরবর্তীকালে সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছে। এমনকি ট্রাম্পের ঘোষণার পরদিন মঙ্গলবার এশিয়ার শেয়ার বাজারে সূচকের উত্থান হয়েছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও চাঙাভাব দেখা গেছে।

সিএনএনের সংবাদে বলা হয়েছে, তিন মাস আগে ট্রাম্প বিপুল হারে ‘পাল্টা’ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর ৯০ দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপর তিন মাস পেরিয়ে গেল-৯ জুলাই আসার আগে ট্রাম্প আবার তা পিছিয়ে দিলেন। এই পরিস্থিতিতে ওয়াল স্ট্রিট এখন এই শুল্ক-সংক্রান্ত ঘোষণা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না।

আইজি অস্ট্রেলিয়ার বাজার বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বিবৃতিতে বলেছেন, শুল্কসংক্রান্ত এই সর্বশেষ ঘোষণা অনেকটা ভূমিকম্পের পরবর্তী আঘাতের মতো; এর জন্য বাজার আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। সামগ্রিকভাবে এই কম্পনের প্রভাব তেমন একটা অনুভূত হয়নি, যেমনটা ২ এপ্রিলের ঘোষণার পর হয়েছিল।

যেসব দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তারা সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা গত মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রিসভার টাস্কফোর্স বৈঠকে বসেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ ও শুল্কহার বাড়ানোর ঘোষণায় জাপান দুঃখ প্রকাশ করছে। তিনি বলেন, উভয় দেশের জন্য লাভজনক দ্বিপক্ষীয় চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। তবে বাজারে অতি অস্থিরতা দেখা দিলে সরকার ‘তাৎক্ষণিকভাবে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে’। যদিও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেনি।

এমএম/