মুহররম-আশুরার ফজিলত, করণীয় ও বর্জনীয়
প্রকাশ:
০৬ জুলাই, ২০২৫, ০৩:২৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
মুফতি জুবায়ের বিন আবদুল কুদ্দুছ মুহাররম অর্থ সম্মানিত। এ মাসকে আল্লাহর মাস বলা হয়েছে। এ মাসের দশ তারিখকে আশুরা বলা হয়। আশুরার অনেক ফজিলত রয়েছে। আশুরার দিনে কারবালার প্রান্তরে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য হজরত হুসাইন রা.শাহাদাত বরণ করার কারণে এ দিনটি আরো স্বরণীয় হয়ে রয়েছে। কিন্তু শিয়া সম্প্রদায় হুসাইন রা. এর এ শাহাদাতকে কেন্দ্র করে মর্যাদাপূর্ণ এ দিনটিতে শোক মিছিলের নামে বিদআত করে, অনাচার করে। এতে সঠিক আকিদার মুসলমানরাও বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তাই মুহাররম ও আশুরার ফজিলত, করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা প্রয়োজন। হাদিসে বর্ণিত মুহাররম ও আশুরার ফজিলত আশুরার দিনে করণীয় আশুরার দিনে বর্জনীয় শিরক-বিদ'আতের পরিনাম খুব ভয়াবহ। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে অংশীদার (শিরক) করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী ক্ষমা করে দেন। আর যে কেউ আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত (শিরক) করে, সে সুস্পষ্টভাবে পথভ্রষ্ট হয়। (নিসা, ১১৬) হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে জীবিত থাকবে তারা অচিরেই প্রচুর মতবিরোধ দেখবে। তখন তোমরা অবশ্যই আমার সুন্নাত এবং আমার হিদায়াতপ্রাপ্ত খলিফাগণের সুন্নাত অনুসরণ করবে, তা দাঁত দিয়ে কামড়ে হলেও আঁকড়ে ধরবে। তোমরা (ধর্মের নামে) নব আবিষ্কৃত বিষয় সম্পর্কে খুব সতর্কতার সাথে বেঁচে থাকবে! কারণ প্রতিটি নব আবিষ্কৃত বিষয় হলো বিদ'আত এবং প্রতিটি বিদ'আত হলো ভ্রষ্টতা। (আবু দাউদ, হা নং৪৬০৭) আর প্রতিটি ভ্রষ্টতার ঠিকানা হল জাহান্নাম। (ইবনে মাজাহ, হা নং ১৫৮১) লেখক: শিক্ষক, লালবাগ মাদ্রাসা, ঢাকা এমএইচ/ |