ইরানের হাতে চীনা জে-১০ সি, টেক্কা দেবে ইসরাইলের এফ-৩৫কে
প্রকাশ:
০৫ জুলাই, ২০২৫, ০৩:৪২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। ব্রিকস নিউজ-এর অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট দাবি করেছে, চীনের অত্যাধুনিক জে-১০ সি যুদ্ধবিমানের প্রথম চালান আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই যুদ্ধবিমানটি অত্যাধুনিক AESA রাডার এবং PL-15 দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ বেশ কিছু আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই জে-১০ সি বিমান ইসরাইলের এফ-৩৫ স্টিলথ জঙ্গিবিমানগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। আকাশে ইরানের পাল্লা ভারি? ব্রিকস নিউজের তথ্যমতে, জে-১০ সি-এর হস্তান্তর ইরানকে পশ্চিম এশিয়ার আকাশে নতুন ধরনের কৌশলগত সুবিধা দিতে পারে। যদিও প্রথম চালানে ঠিক কতটি বিমান ইরান পেয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ভবিষ্যতে মোট কয়টি চালান আসবে, সেটিও এখনো অনিশ্চিত। এর আগে ইরানের প্রভাবশালী দৈনিক হামশাহরি অনলাইন জানিয়েছিল, ইরান চীনের কাছ থেকে মোট ৪০টি জে-১০ সি যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে। প্রতিটি বিমানের দাম প্রায় ৪ কোটি মার্কিন ডলার, ফলে মোট ব্যয় দাঁড়াতে পারে প্রায় ১.৬ বিলিয়ন ডলার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমান কেনার খরচের চেয়েও বেশি ব্যয় হবে এর দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ, যা মূল দামের তিনগুণ পর্যন্ত হতে পারে। জে-১০ সি: আধুনিক চীনা প্রযুক্তির প্রতীক চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন (CAC) নির্মিত জে-১০ সি হচ্ছে চীনের অন্যতম অত্যাধুনিক কৌশলগত যুদ্ধবিমান। ন্যাটো এই বিমানকে “ফায়ার বার্ড” নামে ডাকলেও, চীনে একে বলা হয় “মাইটি ড্রাগন”। জে-১০ সিরিজের মধ্যে জে-১০ সি সর্বাধুনিক সংস্করণ। এটি চীনের নিজস্ব গবেষণার ফসল হলেও কিছু প্রযুক্তি রাশিয়া এবং নকশার ক্ষেত্রে এফ-১৬-এর প্রভাব রয়েছে। ২০০৫ সালে এটি চীনের বিমানবাহিনীতে যুক্ত হয় এবং এখনো কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক আগ্রহ পাকিস্তান ইতোমধ্যেই এই বিমান ব্যবহার করছে এবং সাম্প্রতিক পাক-ভারত উত্তেজনায় এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। মিসর, নাইজেরিয়া, মিয়ানমার এবং সৌদি আরব-ও এই বিমান কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চীনা জে-১০ সি যুদ্ধবিমান ইরানের হাতে পৌঁছানো শুধু দেশটির সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিই নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে শক্তির ভারসাম্য নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারে। এর ফলে অঞ্চলটিতে সামরিক প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হতে পারে বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এমএইচ/ |