বাঁচতে চাই ছোট্ট সোনামণি ফাতেমা
প্রকাশ:
০৫ জুলাই, ২০২৫, ১১:১৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
||খালিদ হাসান বিন শহীদ, ঝিনাইদহ|| ফাতেমা। সাড়ে ৬ বছরের ছোট্ট শিশু। মায়বি চেহারার দিকে তাকালে দৃষ্টি আটকে যায়। ঝিনাইদহের শহরের অক্সফোর্ড স্কুলের প্লে-গ্রুপে পড়া ছোট্ট এই মেয়েটির মুখে সব সময় লেগে থাকে স্বপ্নের মতো প্রাণবন্ত হাসি, কিন্তু সেই হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে তার বেঁচে থাকার আঁকুতি। হ্যা, ফাতেমার শরীরে বাসা বেধেছে থ্যালাসেমিয়া নামের জটিল রোগ। ফাতেমার পিতা রাশেদুল ইসলাম মিলন একজন স্বল্প আয়ের মানুষ। নিজে কিছুই করতে পারেননি, তবে ছেলেমেয়ের সুস্থতার জন্য সংগ্রাম করছেন। পাঁচ বছর ধরে তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য একাই লড়ে যাচ্ছেন। দেশ বিদেশ (ভারত) দৌড়ে পিতা আজ বড়ই ক্লান্ত! তার লড়াই-সংগ্রাম অর্থের অভাবে যেন ক্রমশঃ ছোট হয়ে আসছে। সাড়ে ৫ বছরে প্রায় ১০ লাখ টাকার চিকিৎসা খরচ করেছেন, কিন্তু তবুও শিশু ফাতেমাকে পুরোপুরি সুস্থ করতে পারেনি। দিন যতই যাচ্ছে সন্তানের জন্য পিতার লড়াই ততই কঠিন হয়ে পড়ছে। ফাতেমার চিকিৎসার জন্য ভারতের ভ্যালোর মেডিকেল কলেজের হেমোটলজি বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ডাঃ বিক্রম ম্যাথিউস বোনমেরু স্থপনের কথা বলেছেন। কিন্তু টাকা লাগবে অনেক। অনেক বড় অংকের (২১ লাখ) টাকা এই দরিদ্র পরিবারের জন্য জোগাড় করা অসম্ভব। তার বড় ভাই তামিমের সঙ্গে বোনমেরু প্রতিস্থাপনে রক্তের ম্যাচিং থাকলেও, অর্থের অভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ছট্টো এই শিশুর জীবন যেন শুধু তার একার নয়, তার চারপাশের সকলেরই। এই শিশুটি যেন বলছে, “আমাকে বাঁচতে দাও, আমার জন্য কিছু করো।” এনএইচ/ |