মতভেদ সত্ত্বেও মুসলিমদের ঐক্যের নীতি আঁকড়ে ধরা উচিত
প্রকাশ: ২৮ জুন, ২০২৫, ১২:১২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

।। মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানী।।

আল্লাহ তায়ালা মানবতার জন্য যে দীন-ই-হক পাঠিয়েছেন, তার একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো- ইনসাফ। ইনসাফ অর্থ হলো- প্রত্যেকের সঙ্গে ন্যায় আচরণ করা, হক মেনে নেওয়া এবং জুলুমকে ঘৃণা করা—সে জুলুম কোনো মানুষের ওপর হোক কিংবা কোনো পশু বা আল্লাহ তায়ালার অন্য কোনো সৃষ্টি হোক না কেন। এটা মূলত মানুষের ফিতরাত (স্বভাব) এর কণ্ঠস্বর; এই কারণেই একজন সম্মানিত মানুষ জুলুম দেখলে তীব্রভাবে কষ্ট পায় এবং তার হৃদয় অস্থির হয়ে ওঠে। যদি কোনো মানুষ এই অনুভূতি থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়, তাহলে তার মধ্যে ও এক হিংস্র পশুর মধ্যে আর কোনো পার্থক্য থাকে না। এটা ব্যক্তি থেকে শুরু করে জাতি ও সরকার পর্যন্ত সবার চরিত্র ও নৈতিকতার মানদণ্ড। এই জন্যই আল্লাহ তায়ালা কুরআনের অন্তত ৩০টি স্থানে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ইনসাফের আদেশ দিয়েছেন; খুব কম আমলই আছে যার এত বেশি গুরুত্বের সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মুসলমানদেরকে বিশেষভাবে প্রত্যেক ব্যক্তি এবং প্রত্যেক সৃষ্টির সঙ্গে ইনসাফের আচরণ করতে বলা হয়েছে এবং প্রত্যেক মজলুমকে জুলুম থেকে রক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; যদিও এর মধ্যে মুসলিম ও অমুসলিমের মধ্যে কোনো পার্থক্য রাখা হয়নি, তবে মুসলমানদের সঙ্গে মানবিক সম্পর্ক ছাড়াও একটি দীনি সম্পর্কও রয়েছে; সেই কারণে মুসলমানদের বিশেষভাবে তাদের মুসলিম ভাইয়ের ব্যাপারে ইনসাফ করতে, তার ওপর জুলুম করতে বারণ করা হয়েছে এবং তাকে জুলুম থেকে রক্ষা করার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।

যেমন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন: ‘মুসলমান, মুসলমানের ভাই; সে না তার ওপর জুলুম করে, না তাকে (জুলুমের মাঝে) ফেলে রেখে চলে যায়। যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রয়োজনে সহযোগিতা করে, আল্লাহ তায়ালা তার প্রয়োজনে সাহায্য করেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের কষ্ট দূর করে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিনের কষ্টগুলোর মধ্য থেকে একটি কষ্ট তার থেকে দূর করে দেন। আর যে মুসলমান, অপর মুসলমানের (ত্রুটি) গোপন রাখে, আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন তার (গোনাহ) গোপন রাখবেন।’  (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর: ২৫৮০)

মুসলমানদের মধ্যে এই ভ্রাতৃত্ববোধ সবসময় বজায় থাকা উচিত; কিন্তু দুঃখজনক হলো, আজ উম্মত এই ভ্রাতৃত্বের অনুভূতি থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বিশ্বপর্যায়ে মুসলমানদের অবস্থা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং পরিণতির দিক থেকে ধ্বংসাত্মক। যদি আমরা ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলে দেখি যে, উসমানি খেলাফতের পতনের পর গোটা মুসলিম জাহান ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, একে ক্ষুদ্র, নির্ভরহীন ও অকার্যকর টুকরোয় বিভক্ত করে ফেলা হয় এবং পশ্চিমারা একটি পরিকল্পনার অধীনে তাদের এমন অবস্থায় নামিয়ে এনেছে যে, আজ তারা তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতেও নিজেদের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

কোন মুদ্রা পণ্যের বিনিময়ে ব্যবহার করবে, তাদের দেশে শিল্পায়ন কতটুকু হবে, তাদের মাটির নিচে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে তা কতটুকু উত্তোলন করবে এবং কত দামে বিক্রি করবে, কোন দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবে এবং কোন দেশের সঙ্গে শত্রুতা করবে—এই সব কিছুতেই তারা পশ্চিমা শক্তির ওপর নির্ভরশীল। সার্বিকভাবে মুসলিম উম্মাহ এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে আছে; কিন্তু এই বিষয়ে সবচেয়ে করুণ অবস্থা হলো আরব বিশ্বের। এবং সম্ভবত এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য এক শাস্তি; কারণ উসমানি খেলাফত ভেঙে ফেলার এবং ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার কাজে পশ্চিমারা তাদেরকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিল। আর আজ সমস্ত আরব সরকার পশ্চিমা ও ইসরায়েলি শক্তির সামনে সিজদারত হয়ে পড়েছে।

আজমি মুসলিম দেশগুলো—যেমন তুরস্ক, আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া ইত্যাদি—কমপক্ষে মুখ খুলে কিছু বলে; কিন্তু এই আরব দেশগুলোতে মুখ খুলে কিছু বলারও সাহস নেই। তাদের এমন বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তাদের ইজ্জত ও আত্মসম্মানও যেন মৃতপ্রায় হয়ে গেছে।

এর এক স্পষ্ট উদাহরণ হলো আরব-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব। ইসরায়েল চারদিক থেকে আরব দেশ দ্বারা ঘেরা, তার বিমান সেই আরব দেশগুলোর আকাশপথ দিয়েই চলাচল করে। ইসরায়েল জোরপূর্বক প্রতিবেশী আরব দেশগুলো থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে, ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রকাশ্যে জুলুম চালায়, আন্তর্জাতিক আইনগুলোর বারবার লঙ্ঘন করে, যখন ইচ্ছা তখন প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর বোমাবর্ষণ করে। তার এই জুলুমের কারণে ফিলিস্তিনিরা অনাহারে মারা যাচ্ছে, ষাট হাজারেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছে। যেসব মানবাধিকার রক্ষার কথা আমেরিকা ও ইউরোপ জোরে জোরে বলে থাকে, ফিলিস্তিনে প্রতিদিনই সেগুলো পদদলিত হচ্ছে। কিন্তু ফিলিস্তিনের পার্শ্ববর্তী কোনো মুসলিম দেশের এতটুকু তাওফিক হয় না যে তারা অন্তত নিজেদের সীমান্ত ফিলিস্তিনের মজলুমদের জন্য খুলে দেয়।

যদি শুধু জর্ডান ও মিসর নিজেদের সীমান্ত খুলে দিতো এবং উপসাগরীয় দেশগুলো তাদের অতিরিক্ত খাদ্যসামগ্রী ফিলিস্তিনে পাঠিয়ে দিতো, তাহলে অনেক প্রাণ বাঁচতো এবং ইসরায়েলের সাহস এতটা বেড়ে যেত না। এখন অনেক সময় পর একটি আশাব্যঞ্জক দিক সামনে এসেছে যে, ইরান ইসরায়েলকে জুলুম থেকে রোধ করার চেষ্টা করেছে এবং কিছুটা সফলতাও অর্জন করেছে।

এর পরিবর্তে, আরব বিশ্ব যদি এই যুদ্ধে ইরানের সহযোগী হতো এবং তাদের যৌথ শত্রু ইসরায়েলকে নত হতে বাধ্য করতো, তাহলে উত্তম হতো। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই সব আরব রাষ্ট্র ইসরায়েলকেই নিরাপত্তা দিচ্ছে। সব আরব ও উপসাগরীয় দেশ ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর জন্য নিজেদের আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দিচ্ছে এবং ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে যাওয়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিরোধ করতে ইসরায়েলকে সাহায্য করছে। এটা কতটা লজ্জাজনক ব্যাপার!

‘অপরাধের অজুহাত অপরাধ অপেক্ষাও জঘন্য’– এই কথার প্রতিফলন হিসেবে এখন কিছু লোক এই ঘটনাকে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব হিসেবে তুলে ধরে ইরানকে অপরাধী প্রমাণ করতে চাইছে এবং আরব রাষ্ট্রগুলোর দোষ ঢাকার চেষ্টা করছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। এই লড়াই শিয়া-সুন্নি নয়, বরং এটি জালিম ও মজলুমের লড়াই। ইসরায়েল স্পষ্ট অপরাধী এবং ফিলিস্তিন থেকে ইরান পর্যন্ত সমগ্র মুসলিম জাতি প্রকাশ্যে মজলুম। ফিলিস্তিনিদের ওপর এমন বর্বরতা চালানো হয়েছে যার তুলনা ইতিহাসে পাওয়া যায় না; এমনকি নাৎসিদের দ্বারা ইহুদিদের ওপর চালানো নিপীড়নকেও ছাড়িয়ে গেছে।

তাই এখন সময় এসেছে মুসলমানরা এই পরিস্থিতিকে উপলব্ধি করুক। এই সময়ে শিয়া-সুন্নি বিভেদের আগুন জ্বালানো মূলত পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র এবং তাদের দালাল মুনাফিকদের কাজ। কিছু লোক শিয়া-সুন্নি এজেন্ডাকে জোরদার করতে বলছে: ‘যখন ফিলিস্তিনে জুলুম হচ্ছিল, তখন ইরান কী করেছিল?’ এটা একটি যৌক্তিক প্রশ্ন হতে পারে; কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো: ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে দ্বৈত সম্পর্ক থাকা আরব দেশগুলো—একদিকে ইসলামি ভ্রাতৃত্ব, অন্যদিকে আরব জাতিসত্তা—তারা কি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে? ইরান ও তার সহযোগী শক্তিগুলো ফিলিস্তিনের নেতাদের আশ্রয় দিয়েছে, লেবানন ও ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। অথচ এই কাপুরুষরা এটাও করতে পারেনি।

বাস্তবতা হলো, ফিলিস্তিন সম্পর্কে অবহেলার দায়ে সমস্ত মুসলিম দেশ দোষী; কিন্তু এ ব্যাপারে সবচেয়ে বড় দায়ী হচ্ছে ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রসমূহ এবং তেল-সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলো। আল্লাহর দরবারে তো হিসাব দিতেই হবে; তবে দুনিয়াতেও তারা এর শাস্তি পাচ্ছে—অজনপ্রিয়তা, অক্ষমতা ও লাঞ্ছনার মাধ্যমে এবং ভবিষ্যতেও পাবে।

ইসলাম আমাদের দুটি মূল শিক্ষা দিয়েছে-

(১) জালিমের বিপক্ষে মজলুমের পাশে দাঁড়ানো,

(২) যদি দুই জালিম ও অন্যায় শক্তির মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে কম ক্ষতিকরকে সহ্য করে বড় শত্রুকে প্রতিহত করা।

রাসুলুল্লাহ সা.-এর যুগে যখন রোমান ও পারসিকদের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল, তখন মুসলমানদের সমর্থন রোমানদের দিকে ছিল; কারণ তারা তাওহিদ, নবুয়ত ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাসী ছিল এবং অনেক বিষয়ে মুসলমানদের চিন্তার সঙ্গে মিল রাখতো। অপর দিকে পারসিকরা মুশরিকদের কাছাকাছি ছিল এবং প্রকাশ্য শিরকে লিপ্ত ছিল।

বর্তমান সময়েও এই দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বনযোগ্য। এটি সত্য যে, আহলে সুন্নাত ও আহলে তাশায়্যুর (শিয়া)–এর মাঝে কিছু বড় মতভেদ আছে, বিশেষ করে সাহাবাদের বিষয়ে শিয়া মতবাদ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি আরেকটি বাস্তবতা যে, ইরানের রাজধানী তেহরানে মন্দির, গির্জা, গুরুদোয়ারা এবং ইহুদিদের উপাসনালয় বিদ্যমান; অথচ সুন্নিদের কোনো মসজিদ নেই। আমি নিজে এটি তেহরানে দেখেছি। এই একই অভিযোগ শিয়ারাও করে সুন্নি দেশগুলোর বিরুদ্ধে, বিশেষ করে সৌদি আরবের প্রতি, যেখানে কিছু শহরে বিশ শতাংশ শিয়া জনগণ থাকলেও তাদের নিজস্ব মসজিদ নির্মাণের অনুমতি নেই।

এটি একটি অসংযত, অবিচারপূর্ণ এবং চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি, যা মুসলমানদের মধ্যে বিভেদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর একটি উদাহরণ হলো, সদ্যসমাপ্ত রমজান মাসে তালেবান সরকার ঘোষণা করেছিল যে, তারাবি অবশ্যই ২০ রাকাআত হতে হবে, ৮ রাকাআতের অনুমতি দেওয়া হবে না। এই অধম ব্যক্তিগতভাবে ২০ রাকাআতের পক্ষপাতী; কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, যারা দলিলের আলোকে ৮ রাকাআতের পক্ষে, তাদেরকে জোর করে ২০ রাকাআত পড়তে বাধ্য করবেন।

কুরআন মাজিদ মিশ্র মুসলিম-অমুসলিম সমাজের জন্য এ নীতি নির্ধারণ করেছে যে, প্রত্যেক গোষ্ঠী তাদের নিজস্ব পথে ইবাদত করবে, অন্যের ধর্মীয় বিষয়াদি হস্তক্ষেপ করবে না: ‘লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।’ (সুরা কাফিরুন, আয়াত: ৬)। যেখানে মুসলমানদের বিভিন্ন মাজহাব ও মতের অনুসারীরা বসবাস করে, সেখানে প্রথমেই এটাই হওয়া উচিত যে, প্রত্যেক গোষ্ঠী যেন নিজেদের ইবাদতখানা নির্মাণ করতে পারে এবং নিজ নিজ রীতিতে ইবাদত করতে পারে। জোরপূর্বক ঐক্য সৃষ্টি করতে গেলে ঐক্যের বদলে বিভাজন সৃষ্টি হয় এবং সামগ্রিকভাবে মুসলিম উম্মাহ দুর্বল ও মূল্যহীন হয়ে পড়ে।

এটাও এক সত্য যে, আহলে সুন্নাত ও আহলে তাশায়্যুরদের মাঝে মতভেদের তুলনায় মিলের দিক অনেক বেশি: তাওহিদের আকিদা, রিসালতের আকিদা, ওহি, আসমানি কিতাব, আখেরাতের ধারণা, আহলে বাইতের প্রতি সম্মান, ইসলামের মৌলিক ফরজসমূহ, হারাম ও নিষিদ্ধ বিষয়াবলোতে—এসব বিষয়ে ব্যাপক মিল রয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসলাম-বিরোধী শত্রু শক্তিগুলো চায় যে, মুসলমানদের কাতারে বিভেদ সৃষ্টি হোক, তারা যেন মূল শত্রুদের থেকে চোখ ফিরিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাই আমাদের পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কারণ, এই মুহূর্তে মুসলিম বিশ্বে এবং অমুসলিম দেশগুলোতেও মুসলমানদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো ঐক্য। আমাদের উচিত এই সময় ইরানের পূর্ণ নৈতিক সহায়তা করা, তাদের জন্য দোয়া করা এবং মতভেদ সত্ত্বেও ঐক্যের নীতিকে আঁকড়ে ধরা। একই সঙ্গে ইরানি নেতৃত্বের কাছে এই কামনাও করা উচিত যে, তারা সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিকে শুধু ইরান-ইসরায়েল পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না রেখে গাজার যুদ্ধবিরতিও এতে যুক্ত করুক। এতে গোটা মুসলিম জাহানে ইরানের মর্যাদা বাড়বে এবং মুসলিম ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বে নতুন মাত্রা যোগ হবে। হায়! এমনটা যদি হতো!

[মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানী ভারতের প্রখ্যাত আলেম। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল বোর্ডের সেক্রেটারি জেনারেল। ভারতীয় উর্দু দৈনিকে প্রকাশিত লেখাটি অনুবাদ করেছেন: সাইমুম রিদা]

এনএইচ/