ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ফের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
প্রকাশ: ২৮ জুন, ২০২৫, ১১:৫৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে এটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই হামলা ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরপরই সংঘটিত হলো।

হুথি বিদ্রোহীরা বরাবরই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে আসছে। এবারের হামলাও তারই অংশ বলে দাবি করেছে তারা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ‘সম্ভবত সফলভাবে’ প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তারা স্পষ্ট বক্তব্য দেয়নি।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলসহ কিছু মধ্যাঞ্চলে আকাশ প্রতিরক্ষা সাইরেন বেজে ওঠে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানায়, “আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিরোধ প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। আমাদের প্রাথমিক বিশ্লেষণে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এ ধরনের ‘সম্ভাব্য’ শব্দ ব্যবহার ব্যতিক্রমী। সাধারণত তারা নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে থাকে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করা হয়েছে কি না। এতে কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

যুদ্ধবিরতির ফলে ইরান-ইসরায়েল সরাসরি সংঘর্ষ কিছুটা কমলেও, ইয়েমেন, লেবানন ও সিরিয়ায় ইরানঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলোর হামলা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হুথিদের এমন হামলা হয়তো ইরানের সরাসরি নির্দেশনায় নয়, বরং তাদের ‘প্রক্সি’ হিসেবে এই গোষ্ঠীগুলোর স্বাধীন বা কৌশলগত কার্যক্রমেরই বহিঃপ্রকাশ।

এদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণাঞ্চল ও লোহিত সাগর উপকূলীয় এলাকাসহ সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে সতর্কতা জারি করেছে। নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা প্রমাণ করে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনো অত্যন্ত অস্থিতিশীল। হুথিদের ধারাবাহিক হামলা ইসরায়েলের জন্য নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

এনএইচ/