আজকের পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ সব খবর ২৮ জুন ২০২৫
প্রকাশ:
২৮ জুন, ২০২৫, ১১:৩৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, 'গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি, মশার বংশ বিস্তারও ব্যাপক'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বর্তমানে ডেঙ্গু রোগ শুধু শহরেই নয়, গ্রামাঞ্চলেও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। শহর থেকে গ্রামে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং গ্রামেই এখন আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশার একটি প্রজাতি 'এলবোপিকটাস' মূলত গ্রামে বেশি বিস্তার লাভ করছে। অনেক জায়গায় মশার ঘনত্বের সূচক ২০ ছাড়িয়ে ১০০ থেকে ১৬০ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, যা মারাত্মক বিপদের ইঙ্গিত। মশা দমন কার্যক্রমও গ্রামে খুবই দুর্বল। গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গুর বিস্তারে ভূমিকা রাখছে আধুনিক জীবনধারা, যেমন: প্লাস্টিক পাত্রে জমা পানি। শহর থেকে যারা গ্রামে যান, তারাই আক্রান্ত হয়ে মশার মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সরকারি পরিসংখ্যান কেবল সরকারি হাসপাতালের তথ্য ধরে তৈরি হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাচ্ছে না। অনেকেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, যার হিসাব নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু সরকারকে দোষারোপ না করে জনগণকেও সচেতন হতে হবে। মশা নিধনে সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এ বছর ইতিমধ্যে ৯,২২২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪০ জন মারা গেছেন। গত বছর এই সংখ্যা আরও বেশি ছিল। ডেঙ্গু এখন একটি জাতীয় স্বাস্থ্য সংকট হয়ে উঠেছে, যা শহর-গ্রাম উভয় জায়গায় সমানভাবে ভয়ংকর। আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, 'বিএনপির নজর নির্বাচনে, পা ফেলছে সাবধানে'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে। দলটি বিশ্বাস করে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সময়মতো নির্বাচন আয়োজন করবেন। এজন্য বিএনপি রাজনীতির মাঠে এখন খুবই সতর্কভাবে চলছে। যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়েই ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে তারা, তবে সেটা জোটগত না মোর্চাভিত্তিক হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। দলটির লক্ষ্য দীর্ঘ ১৬ বছর পর ক্ষমতায় ফেরা। এজন্য তারা চায় একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। প্রার্থী বাছাই, ইশতেহার রচনা ও প্রচার সব কিছুতেই তারা সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থী বাছাইয়ে কঠোর অবস্থানে আছেন। যারা দলের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন না বা অপকর্মে যুক্ত ছিলেন, তারা এবার প্রার্থী হতে পারবেন না। তরুণদের টানতে ও সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে বিএনপি প্রচারে নতুনত্ব আনতে চায়। মিডিয়া সেল আধুনিক প্রযুক্তি ও সনাতন পদ্ধতি মিলিয়ে কাজ করছে। এক্সপার্ট নিয়োগ ও উন্নত দেশের মডেল অনুসরণ করে নির্বাচনি প্রচারের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। দলটির নেতারা বলছেন, বিএনপি সব সময় নির্বাচন প্রস্তুত এবং সময় এলেই তা দৃশ্যমান হবে। ![]() প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'রাজনীতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনোখুনি'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নরসিংদীতে গত পাঁচ দশক ধরে রাজনীতি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুনোখুনি থামছেই না। ১৯৭২ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বহু মানুষ খুন হয়েছেন, শুধু গত ২০ বছরেই নিহতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। শিবপুরের খান পরিবার একা হারিয়েছে তাদের চার সদস্যকে, যারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং নিজেদের দলের দ্বন্দ্বেই নিহত হন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক কোন্দল, সর্বহারা পার্টির তৎপরতা, জমি-বাড়ির বিরোধ, এমনকি পারিবারিক কলহ থেকেও খুনের ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি, আর বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি আরো খুনকে উসকে দিচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিচারকে প্রভাবিত করাও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী পরিবার বিচার চেয়েও পায়নি, বরং নিজেরাই মামলার আসামি হয়ে গেছে। শুধু রাজনৈতিক নেতা নয়, ইউপি চেয়ারম্যান, মেয়র, সংসদ সদস্য, এমনকি সাধারণ মানুষও খুনের শিকার হয়েছেন। চরাঞ্চলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বও সহিংসতা বাড়িয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রের সহজলভ্যতা এই পরিস্থিতিকে আরও ভয়ংকর করে তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সহিংসতা বন্ধে শুধু প্রশাসন নয়, রাজনৈতিক নেতাদের আন্তরিকতা ও একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। না হলে নরসিংদীতে রক্তপাত চলতেই থাকবে। ![]() ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, 'High expectations for Ducsu election as students demand reforms' 'শিক্ষার্থীদের সংস্কারের দাবির মুখে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উচ্চ প্রত্যাশা' । প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে এবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উচ্চ প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থীরা দেখছে একটি ঐতিহাসিক সংস্কার ও পরিবর্তনের সুযোগ। তবে সবচেয়ে বড় বিতর্ক হচ্ছে উপাচার্য এখনও ডাকসুর সভাপতি থাকবেন কি না, তা নিয়ে। প্রায় সব ছাত্র সংগঠন চাইছে সরাসরি ভোটে ডাকসু সভাপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিছু সংশোধনী এনেছে এবং বলছে, উপাচার্যের একক ক্ষমতা কমানো হয়েছে, শিক্ষার্থীরা তা পর্যাপ্ত মনে করছে না। ছাত্র সংগঠনগুলো বলছে, বর্তমান গঠনতন্ত্রে সংস্কার অসম্পূর্ণ ও অস্পষ্ট। রাজনৈতিক প্রভাব ও অতীতের দখলদার ছাত্রলীগের নেতাদের উপস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ আছে। অনেক সংগঠন মনে করে, এই নির্বাচন স্বচ্ছ হতে হলে প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে, নয়তো ছাত্ররাজনীতির প্রতি নেতিবাচক ধারণা আরও বাড়বে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ছাত্রলীগের একচেটিয়া প্রভাব নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল। তবে এবার ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ থাকায় ভিন্ন পরিবেশে ভোট হতে পারে। ছাত্রদল, শিবির, বাম সংগঠন ও অন্যান্য দলের প্রার্থীরাই এবার মূল প্রতিযোগিতায় থাকবে। শিক্ষার্থীরা চায় ডাকসু হোক একটি গণতান্ত্রিক, প্রতিনিধিত্বমূলক এবং স্বচ্ছ সংগঠন। দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'চালের বাজারে পুরনো 'ভূত'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চালের দাম আবারও হঠাৎ বেড়ে গেছে, তাও বোরো মৌসুমে, যখন সাধারণত দাম কম থাকে। কৃষকের ঘরে এখন আর ধান নেই, সব চলে গেছে ফড়িয়া, পাইকার, মজুদদার আর মিল মালিকদের হাতে। এই কারণে বাজারে ধান ও চালের দাম একসঙ্গে বাড়ছে। গ্রামের বাজারে ধানের দাম প্রতি মণে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বেড়েছে, মিল মালিকরাও সেই সুযোগে চালের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে আট টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। ঢাকার মুদি দোকানগুলোতে ৫০ কেজির বস্তা চালে ৪০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। সরকারি হিসাব বলছে, মাঝারি মানের চিকন চালের পাইকারি মূল্য ৫১ টাকার বেশি হওয়ার কথা না, কিন্তু এখন তা ৬০ থেকে ৭২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে আরও বেশি। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর চালের দাম বাড়ায়, এবার সেটা শুরু করেছে মৌসুমের শুরুতেই। সিন্ডিকেটের মধ্যে মিল মালিক, পাইকার, মজুদদার সবাই জড়িত। এভাবে দাম বাড়লে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষদের। অনেকে বলছে, সরকার যদি চালের উৎপাদন খরচ আর ন্যায্য বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে এবং নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে, তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নইলে সারা বছর চালের দাম ভোগাবে, আর অসাধু মজুদদাররা পার পেয়ে যাবে। ![]() দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, 'IMF conditions: Govt pledges to track graft in tax admin' 'আইএমএফের শর্ত: কর প্রশাসনে দুর্নীতির তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার' প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আইএমএফ থেকে পাঁচ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারের ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে সরকার বড় ধরনের কিছু অর্থনৈতিক সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে আছে দুর্নীতির মাত্রা জানার জন্য কর প্রশাসনে নিয়মিত জনমত জরিপ, এবং বিদ্যুৎ, রপ্তানি, প্রবাসী আয় এবং সার খাতে ভর্তুকি ধাপে ধাপে কমানো। কর কর্মকর্তাদের জন্য আচরণবিধি, প্রশিক্ষণ, এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করার ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। ২০২৬ সালের বাজেটে কর ছাড় কমিয়ে অতিরিক্ত ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমাতে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিন বছরের রোডম্যাপ আসবে, যাতে ধীরে ধীরে উৎপাদন খরচ ও বিক্রয় মূল্যের ফারাক কমানো হবে। প্রবাসী আয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রণোদনা ২০২৭ সালের জানুয়ারির মধ্যে পুরোপুরি তুলে নেওয়া হবে। একইভাবে তৈরি পোশাক, চামড়া ও পাট রপ্তানিতেও ভর্তুকি ধাপে ধাপে বন্ধ হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইন সংশোধন করে ডিসেম্বরের মধ্যে অধ্যাদেশ আনার পরিকল্পনা আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আধুনিক ও জবাবদিহিমূলকভাবে গড়ে তোলার কথাও বলা হয়েছে। সরকার বলছে, এই সংস্কারগুলো না করলে অর্থনৈতিক ভারসাম্য ধরে রাখা কঠিন হবে। ![]() দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম 'How banks made record profits in a depressed year' অর্থাৎ, 'হতাশাজনক বছরে ব্যাংকগুলি কীভাবে রেকর্ড মুনাফা করেছে' প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৪ সালে দেশের বেশিরভাগ ব্যাংক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়ে গেলেও কিছু ব্যাংক রেকর্ড মুনাফা করেছে। এই মুনাফার উৎস ছিল মূলত সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ,এমন না যে তারা প্রচলিতভাবে ঋণ দিয়ে আয় করেছে। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বাণিজ্যিক ঋণ না দিয়ে নিরাপদ সরকারিভাবে সুদপ্রাপ্ত সিকিউরিটিতে বিনিয়োগে ঝুঁকেছে। এতে ব্যক্তি খাতের ঋণ সংকুচিত হয়েছে, যা অর্থনীতির গতি কমিয়ে দিচ্ছে। ব্র্যাক ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক ইতিহাসে প্রথমবার এক হাজার কোটি টাকার বেশি লাভ করেছে। অথচ এদের মূল সুদ আয় কমে গেছে। তাদের লাভের বড় অংশ এসেছে সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ থেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকগুলো ঝুঁকিহীন আয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে, যা ব্যক্তি খাতের জন্য বিপজ্জনক। কারণ এতে ব্যবসা ও শিল্পের জন্য ঋণ কমে যায়। এদিকে অনেক ব্যাংক বড় লোকসানে পড়েছে, বিশেষ করে যারা খেলাপি ঋণের সমস্যায় জর্জরিত। ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ এক বছরে চার শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সমস্যার মূল কারণ সরকার প্রচুর পরিমাণে ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে। এতে সরকারকে উচ্চ সুদ দিতে হচ্ছে, যা ব্যাংকগুলোর জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। অথচ ব্যক্তি খাত বঞ্চিত হচ্ছে। যদি এই ধারার পরিবর্তন না হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতি আরও চাপের মুখে পড়বে। ![]() নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, 'বিএবির ব্যানারেই ব্যাংক থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায়'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)-এর নেতৃত্বে থাকা এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে ব্যাংক খাত থেকে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা চাঁদা তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অর্থ বিভিন্ন নামে-অনামে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল, শেখ পরিবারের বিভিন্ন ফাউন্ডেশন, সিনেমা নির্মাণ, খেলাধুলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক থেকেই শুধু সাড়ে চার শত কোটি টাকা নেয়া হয় বলে জানা গেছে। বেশিরভাগ সময় ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করা হতো নির্ধারিত অঙ্কের চাঁদা দিতে। কম মুনাফা সত্ত্বেও ব্যাংক চেয়ারম্যানরা চাপে পড়ে এই অর্থ প্রদান করতেন। এছাড়াও সুদ মওকুফ, ঋণ পরিশোধ না করা ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সভা ও নির্দেশনার মাধ্যমে একাধিক ব্যাংক থেকে একাধিক সময়ে একাধিক প্রকল্পের জন্য কোটি কোটি টাকা আদায় করা হয়। অনেক সময় এসব অর্থ কম্বল বিতরণ, মুজিব কর্নার বা শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ে ব্যবহৃত হয়। এখন এসব লেনদেন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন প্রকৃত সত্য উদঘাটন সম্ভব হবে যদি নিরপেক্ষ অনুসন্ধান হয়। ![]() সমকালের প্রধান শিরোনাম, 'সরকার বলছে সম্ভাবনা, দলগুলোর সন্দেহ' চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় এবং আয়বর্ধক নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)-এর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার সরকারি পরিকল্পনা নিয়ে দেশে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সরকার বলছে, উন্নত ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটি দরকার। তারা ডিপি ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতে চায়, যারা বিশ্বের ৭০-৮০টি বন্দর পরিচালনা করে। সরকার দাবি করছে, বিদেশি প্রতিষ্ঠান এলে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়বে এবং চাকরি হারানোর ভয় নেই। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন ও বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, এনসিটি গত ১৭ বছর ধরে সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে, সবচেয়ে বেশি আয় ও কর্মসংস্থান দিচ্ছে। এত বড় একটি লাভজনক টার্মিনাল কেন বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে, তা নিয়ে তাদের সন্দেহ ও আপত্তি রয়েছে। তাদের দাবি, বিদেশি বিনিয়োগ হলে নতুন টার্মিনালে হোক, দেশের অর্থে গড়া টার্মিনালে নয়। এ নিয়ে প্রতিবাদে রোডমার্চ, সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করছে বিভিন্ন সংগঠন ও দল। অনেকে বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এনসিটির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সরকার কতটা স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয়, তার ওপর। ![]() নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, 'Alternative transport on rise as public transport in chaos' 'গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলার মধ্যে, বিকল্প পরিবহন বাড়ছে'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থা বর্তমানে চরম বিশৃঙ্খলায় পড়েছে। আগের সরকারের সময় থেকেই নিয়ন্ত্রণহীন এই খাত অন্তর্বর্তী সরকারের হাতেও শৃঙ্খলায় আনা সম্ভব হয়নি। ফলে শহরের রাস্তায় বেআইনি ব্যাটারিচালিত রিকশা ও মোটরসাইকেলের আধিপত্য আরও বেড়েছে। এসব ছোট যানবাহন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, ট্রাফিক আইন ভাঙছে, যানজট ও বিশৃঙ্খলা বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসই এখনো সবচেয়ে কার্যকর ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন হলেও এর ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই। বেপরোয়া চালানো, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো, চালকদের বেতন বৈষম্যসহ নানা সমস্যায় বাস সেবা ভেঙে পড়েছে। সরকার বহু আগে বাস রুট সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আইন তৈরির উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গণপরিবহনে মালিকানা হাতবদল হলেও শৃঙ্খলার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের মধ্যে ৫৫ শতাংশ হচ্ছে মোটরসাইকেল এবং মাত্র দুই শতাংশ বাস। এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা শহরের দৈনিক যাত্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষ হেঁটে চলেন, আর বাস ব্যবহার করেন মাত্র নয় দশমিক তিন শতাংশ। বর্তমান সরকার পুরনো বাস তুলে দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ক্লাস্টার ভিত্তিক বাস চালু এবং টিকিটিং ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করছে। তবে বিশৃঙ্খল পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এখনো অনেক পথ বাকি। এনএইচ/ |