ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে আরও মুসলিম দেশ?
প্রকাশ: ২৬ জুন, ২০২৫, ১১:৫২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ইসরায়েলের সঙ্গে আরও কয়েকটি মুসলিম দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। বুধবার (২৫ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।

উইটকফ বলেন, ‘আমরা এমন কিছু দেশের সঙ্গে কাজ করছি, যাদের নিয়ে কেউ ভাবেনি যে, তারা কখনও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। কিন্তু এখন সে লক্ষ্যেই এগোচ্ছি। আমরা শিগগির বড় কিছু ঘোষণার অপেক্ষায় আছি।’

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডসের আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ট্রাম্পের বর্তমান প্রশাসন সেই চুক্তির পরিধি আরও সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন উইটকফ।

তিনি আরও জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের সমন্বয়ে এই উদ্যোগের পরবর্তী ধাপের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

সাক্ষাৎকারে স্টিভ উইটকফ ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ ও অস্ত্রায়নের বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘রেড লাইন’ বলে উল্লেখ করেন। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সামগ্রিক শান্তি চুক্তির মাধ্যমে তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমিয়ে আনা সম্ভব।

উইটকফ বলেন, ‘আমরা চাই, মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আসুক এবং শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক।’

বিশ্লেষকদের মতে, যদি সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া কিংবা অন্যান্য প্রভাবশালী মুসলিম দেশ আব্রাহাম চুক্তিতে যুক্ত হয়, তাহলে সেটি হবে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের সূচনা।

তবে এখন পর্যন্ত নতুন কোনো দেশের নাম প্রকাশ করা হয়নি, যার ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন প্রক্রিয়াকে আব্রাহাম অ্যাকর্ডস বলা হয়। এর লক্ষ্য হলো মুসলিম বিশ্ব ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা কমানো এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা।

তথ্যসূত্র: দ্য জেরুজালেম পোস্ট

এনএইচ/