আজকের পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ সব খবর ২৫ জুন ২০২৫
প্রকাশ:
২৫ জুন, ২০২৫, ০৯:৩৯ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা: ইত্তেফাক পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম।ইরানের হামলার পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ট্রাম্প-পলপতর পরিস্থিতি। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। তিনি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতকে ‘বিপজ্জনক খেলা’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
৬ জনকে পুড়িয়ে মারায় ১৬ জনের সম্পৃক্ততা মিলল- যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন ৫ই আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় ঘটে এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড। ছয়জনের নিথর দেহ গাড়িতে উঠিয়ে পুড়িয়ে ফেলে পুলিশ। এদের মধ্যে একজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। লোমহর্ষক এসব তথ্য উঠে এসেছে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদনে। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ও ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফীসহ ১৬ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। এটিই তৃতীয় কোনো মামলা, যার তদন্ত সম্পন্ন হলো। গত ১৯ জুন চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি জমা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। যাচাই-বাছাই শেষে এটি ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ হিসেবে দাখিল করবে প্রসিকিউশন। আগামী দোসরা জুলাই দিন রেখেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি পহেলা জুলাই নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সংঘটিত গুম, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। ![]() 111 killed in political violence across Bangladesh since Aug `24, অর্থাৎ ২৪শে আগস্ট থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১১১ জন নিহত- ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ এর প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ এর ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে গত ১০ মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ হওয়ায় খুন, ডাকাতি, চোরাচালান, মাদক ব্যবসা এবং চুরি সহ অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, এই বছরের ৩১মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে, রাজনৈতিক সহিংসতা অব্যাহত ছিল এবং ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে সংঘটিত ৪৪৪টি ঘটনায় ১১১ জন নিহত এবং ৪,৮৯২ জন আহত হয়েছে। সাবেক এবং কর্মরত অনেক পুলিশ কর্মকর্তা মনে করেন, ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশ সদস্যদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠার পর দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যদের উপর হামলার ঘটনাগুলোর কারণে পুলিশ বাহিনী এখনও তার মনোবল ফিরে পায়নি। পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ পরিসংখ্যান অনুসারে, মে মাসে সারা দেশে ৩৪১টি খুনের মামলা, এপ্রিলে ৩৩৬টি মামলা, মার্চে ৩১৬টি মামলা এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে পুলিশ সদর দপ্তর উল্লেখ করেছে যে পূর্ববর্তী মাসগুলোতে কিছু খুনের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু পরের মাসগুলোতে তা রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদার মতে, আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং অপরাধ দমনে সরকারের কঠোর অবস্থান গ্রহণের বিকল্প নেই। 'এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর পর পুলিশ এখনও তার মনোবল ফিরে পায়নি। অনেক পুলিশ সদস্য ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অনেকেই থানা থেকে পালিয়ে গেছেন,' তিনি বলেন। পিএইচকিউর তথ্য অনুসারে, মে মাসে সারা দেশে মোট ১৭৭টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, এপ্রিলে ১৪৯টি, মার্চে ১৭১টি এবং ফেব্রুয়ারিতে ১৫৩টি। ![]() Mob violence now alarmingly routine, অর্থাৎ জনতার সহিংসতা এখন উদ্বেগজনকভাবে নিয়মিত ঘটনা- ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর এটি। এতে বলা হয়েছে, গত ১০ মাস ধরে মব ভায়োলেন্স তীব্র আকার ধারণ করেছে। আক্রমণগুলো উদ্বেগজনকভাবে নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে, এমনকি কখনও কখনও পুলিশের উপস্থিতিতেও ঘটছে এমন ঘটনা। অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা কিছুটা হলেও জনতাকে উৎসাহিত করেছে এবং এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছে যেখানে দৃশ্যমান বিচার সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠছে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে, ক্ষতি রোধ করতে দেরিতে হস্তক্ষেপ করেছে পুলিশ। দেরিতে এসেছিল এবং অনেক ক্ষেত্রে সহিংসতার ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করার পরেই তারা পদক্ষেপ নিয়েছে। এমনও ঘটনা রয়েছে যেখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সামনেই অবস্থায় তাণ্ডব চালিয়েছিল জনতা, যার সর্বশেষটি হল প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার উপর হামলা ঘটনা। গত ১০ মাসে, জনতা ব্যক্তিদের উপর হামলা করেছে, অফিস এবং বাড়িঘর লুট করেছে, ঐতিহ্যবাহী স্থান, মাজার, আখড়া অপবিত্র করেছে এবং এমনকি মহিলাদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করে দিয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতে, গত বছরের আগস্ট ২০২৪ থেকে এই বছরের মে মাসের মধ্যে জনতার হামলায় কমপক্ষে ১৭৪ জন নিহত হয়েছেন। "ভয়াবহ ঘটনার পরেও, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না যা একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে পারে," মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলেন। ![]() স্বামী সভাপতি, স্ত্রী সম্পাদক, বাসাতেই দলের কার্যালয়- প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি। ইসিতে জমা দেওয়া আবেদনে দলের কার্যালয়ের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার মগবাজার ৬৩৯/বি, পেয়ারাবাগ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ দেয়ালের ওপরে টিনের ছাউনির এক কক্ষের একটি ছোট্ট ঘর। রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, 'নিবন্ধনের জন্য আবেদন সাবমিট করছি আরকি। ২০১১ সালে পার্টিটা গঠন করছি।' নিজের ভাড়া বাসাকেই আপাতত দলের কার্যালয়ের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করার কথা জানান বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টির এই সভাপতি। অন্যদিকে বাংলাদেশ-তিসারী-ইনসাফ দল তাদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেছে একটি রেস্তোরাঁকে। মোট ১৪৭টি দল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। গত রোববার শেষ দিনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তারা দলীয় প্রতীক হিসেবে জাতীয় ফুল 'শাপলা' চেয়েছে। এ ছাড়া এনসিপির পছন্দের প্রতীকের তালিকায় আরও দুটি প্রতীক রয়েছে। নতুন দলের ক্ষেত্রে ইসিতে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য দলের সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং কার্যকর কমিটি থাকতে হয় কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায়। পাশাপাশি সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা কিংবা মেট্রোপলিটন থানার কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের নথিও দেখাতে হয়। ইসিতে যেসব দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে, সেগুলোর মধ্যে তিনটি দলের নামে 'বেকার' শব্দ রয়েছে। এগুলো হলো বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস) ও বাংলাদেশ বেকার সমাজ। ![]() যুদ্ধবিরতির ঘোষণা ট্রাম্পের লঙ্ঘনের অভিযোগ দু'পক্ষের- সমকাল পত্রিকার প্রধান সংবাদ। এই খবর ঢাকার বেশিরভাগ পত্রিকায় গুরুত্ব দিয়ে প্রথম পাতায় প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, অনেকটা আকস্মিকভাবে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন। তবে ঘোষণার পরপরই ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে। ইসরায়েল হামলা চালিয়ে ইরানের একজন পরমাণু বিজ্ঞানীকে সপরিবারে হত্যা করে। জবাবে ইরান ইসরায়েলের টেক সিটি বিরশেবাতে হামলা চালায়। এতে নিহত হন চারজন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে জানান, 'যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর হয়েছে। দয়া করে কেউ এটি লঙ্ঘন করবেন না।' এ প্রেক্ষাপটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানান, সামরিক অভিযান বন্ধে কোনো চুক্তি হয়নি। তবে ইসরায়েল ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবৈধ হামলা বন্ধ রাখলে পাল্টা হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছা নেই। পরে একই কথা বলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ![]() নিম্নমানের ১৫ লাখ বইয়ে চলছে পড়া- আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এই খবরে বলা হয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে দরপত্রের শর্ত পূরণ না করে ১৫ লাখের বেশি নিম্নমানের পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছে। বিনা মূল্যের এসব বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণও হয়েছে। নিম্নমানের এসব বই ছাপানোর সঙ্গে জড়িত ২৯টি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান। বিনা মূল্যের ছাপানো পাঠ্যবইয়ের মান যাচাইয়ের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান হাই-টেক সার্ভে অ্যান্ড ইন্সপেকশন সার্ভিস বিডির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। সারা দেশের মাঠপর্যায় থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব টেস্টের পর এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ১৮ জুন বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণকারী সংস্থা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ১৫ লাখ বইয়ে নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার করা হয়েছে। কাগজের পুরুত্ব, আকার ও মুদ্রণের মানও ঠিক নেই; যা দরপত্রের শর্তের লঙ্ঘন। দরপত্রের শর্তে ৮০ জিএসএমের কাগজে বই ছাপাতে বলা থাকলেও এসব বই ছাপানো হয়েছে ৫৬ থেকে ৭৫ জিএসএমের কাগজে। বেশ কিছু বইয়ে মুদ্রণ, বাঁধাই, কাটিংও নিম্নমানের। পাঠ্যবইয়ের মান নিয়ে হাই-টেক সার্ভে অ্যান্ড ইন্সপেকশন সার্ভিসের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে নিম্নমানের বই ছাপানোর কারণে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মূল্যায়ন প্রতিবেদন দিয়েছে ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান। এখন বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিম্নমানের পাঠ্যবই ছাপানোর অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে অ্যারিস্ট্রোক্রেট সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস, পাঞ্জেরি প্রিন্টার্স, লেটার অ্যান্ড কালারসহ কয়েকটি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউই নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তাদের ভাষ্য, এ বিষয়ে তারা এনসিটিবির চিঠি পায়নি। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই সরবরাহ করেছে, তাদের ভালো কাগজে নতুন করে ছাপিয়ে বই রিপ্লেস করে দিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ![]() রোহিঙ্গা পুশইনে বাড়ছে উদ্বেগ- দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, গত তিন মাসে দেড় হাজারের বেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করা হয়েছে। তার মধ্যে একশর বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে বলে পুলিশের একটি গোপন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। মিয়ানমার থেকে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা ভারতের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে গেছে বলে তথ্য এসেছে। বাংলাদেশ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, আলোচনা ছাড়া কাউকে পুশইন না করাতে। কিন্তু এসব অনুরোধ পাত্তাই দিচ্ছে না তারা। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি গভীর উদ্বেগের বিষয়। এটি চূড়ান্তভাবে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলছে। এভাবে চলতে থাকলে ভারত পুশইনের সুযোগ নিয়ে কোনো বড় অপরাধীকেও পাঠাতে পারে। বাংলাদেশও ভারতে পুশব্যাক করার চিন্তা করতে পারে এখন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, পতাকা বৈঠক এবং কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বারবার প্রতিবাদ জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। বিএসএফ এবং অন্যান্য ভারতীয় সংস্থার দ্বারা ঠেলে দেওয়ার ঘটনা দুঃখজনকভাবে অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, সম্পর্কে চিড় ধরায় বাংলাদেশকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে 'পুশইন' তৎপরতা চালাচ্ছে ভারত। শ্রীমঙ্গলের ৪৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এএসএম জাকারিয়া জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপারে এমন সতর্ক অবস্থানের পর বাংলাদেশ অংশেও সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে সীমান্ত রক্ষীবাহিনী। ![]() ১২ দিন পর যুদ্ধবিরতি, বিশ্বজুড়ে স্বস্তি – কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইরান ও ইসরায়েল ১২ দিন ধরে চলা সংঘাতের অবসানে একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানায় ইরান ও ইসরায়েল। তবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ইরানের বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তেহরানে 'তীব্র' হামলার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। যদিও তেহরান এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়। পরে নানা নাটকীয়তার পর শর্ত সাপেক্ষে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার অঙ্গীকার করেছে দুই দেশই। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার খবর বিশ্বজুড়ে স্বস্তি এনে দিয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত, কাতার, মিসর, লেবানন, জর্দান, সৌদি আরব, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ইরান-ইসরায়েল দুই দেশের বিরুদ্ধেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন ট্রাম্প। এই অভিযোগে দুই দেশের প্রতিই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। তবে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের বিষয়ে একেবারেই 'খুশি নন' বলে ট্রাম্প বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। ১৩ জুন থেকে ইসরায়েলের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছিল ইরান। তবে শনিবার রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় দেশটি। ![]() ১২ দিন পর যুদ্ধবিরতি, লড়াই করে টিকে গেল ইরান- বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের রক্তাক্ত দাবার ছকে গত এক সপ্তাহজুড়ে যেভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুটেছে, ঘাঁটি জ্বলেছে আর আন্তর্জাতিক সীমারেখা লঙ্ঘিত হয়েছে—তা শুধু যুদ্ধ নয়, বরং এক ভয়ংকর কৌশলগত প্রতিযোগিতা। এখন তেহরান আর তেলআভিভের আকাশে আগুনের গোলা ধীরে ধীরে সরছে, সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, ইসরায়েল—তিন পক্ষই নিজেদের বিজয়ী দাবি করছে। সার্বিকভাবে এ যুদ্ধে দৃশ্যত লড়াই করে টিকে গেল ইরান। ১২ দিনের লড়াইয়ে বার্তা দিয়েছে প্রবল শক্তিশালী আক্রমণের মুখে টিকে থাকতে পারে তারা। লড়াই চালিয়ে গেছে মাথা নত না করেই। ইরানের জন্য বড় স্বস্তির জায়গা আছে আরেকটি। পাশ্চাত্য শক্তিগুলো স্বীকার করেছে, ইরানের ৪০০ কেজির ইউরেনিয়াম মজুদ অক্ষত রয়েছে। পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরও তারা জানেন না ইরানের ইউরেনিয়াম মজুদ কোথায় রয়েছে? পরমাণু স্থাপনার ক্ষতি হলেও তাদের পরমাণু কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে সে দাবি করতে পারছে না কেউই, যা ইঙ্গিত দেয় ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্য পূরণ হয়নি। সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্য এক নতুন চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে। এ পথ কোথায় যাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে সত্য হচ্ছে, এ যুদ্ধের শেষে কেউ আত্মসমর্পণ করেনি, আবার কেউই পুরোপুরি নিরাপদে বেরিয়ে আসেনি। পরিস্থিতি এমন যে তিনটি রাষ্ট্রই দাবি করছে, 'আমরা জয়ী হয়েছি'। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা চূর্ণ করে দিয়েছে। ট্রাম্পের ভাষায়, 'সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।' তবে কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের পাল্টা হামলার পরও ট্রাম্প প্রতিশোধ না নিয়ে উল্টো বলেন, 'ধন্যবাদ ইরান, আগাম জানিয়ে দেয়ার জন্য। এনএইচ/ |