ইরানের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েল অন্ধকার, লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
প্রকাশ:
২৩ জুন, ২০২৫, ০৩:৫৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ইরানের ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) জর্ডানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হামলার বিষয়টি ইসরায়েল ইলেকট্রিক কোম্পানি নিশ্চিত করেছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানে। এতে ওই অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ছিল একটি কৌশলগত স্থাপনা। এদিকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, দক্ষিণের আশদোদ শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি জেরুজালেমের দক্ষিণে অবস্থিত লাচিস শহরেও হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াইনেট নিউজ। হামলাগুলোতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জেরুজালেম শহরের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, ইরান থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে, যার ফলে সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ ইসরায়েলে বারবার বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন বাজানো হচ্ছে। এমনকি জেরুজালেমে সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গেই নেসেটের (ইসরায়েলি পার্লামেন্ট) আইনপ্রণেতারা আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যান। আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ দিনে ইরানের হামলায় ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি কৌশলগত অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু সেন্ট্রাল ইসরায়েল নয়, হাইফার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরেও একাধিকবার হামলা চালিয়েছে ইরান। উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে পরমাণু, সামরিক ও আবাসিক এলাকাগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়। প্রাণ হারান অন্তত ৪০০ ইরানি, যাদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক রয়েছেন। এর জবাবে ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’-এর আওতায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে ২১ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এমএইচ/ |