
| 	
        
			
							
			
			  হরমুজ প্রণালীতে প্রবেশের পর ঘুরে গেল দুটি তেলবাহী জাহাজ  
			
			
	
			
										প্রকাশ:
										২৩ জুন, ২০২৫,  ০৩:০৪ দুপুর
					 
			
			
			
			নিউজ ডেস্ক  | 
		
			
			
			
			
			 
	   
	      
 ইরানে মার্কিন সামরিক হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে আবারও বাড়ছে উত্তেজনা। বিশেষ করে পারস্য উপসাগরের মুখে অবস্থিত কৌশলগত তেল পরিবহন পথ হরমুজ প্রণালীকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নতুন সংকট। ইতোমধ্যে ইরানের পার্লামেন্ট এই প্রণালী বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়াতে বিশাল আকারের দুটি তেলবাহী জাহাজ হরমুজে প্রবেশের পর ইউটার্ন করে ফিরে গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কোসইউসডম লেক’ ও ‘সাউথ লয়্যালটি’ নামের দুই ট্যাংকার প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল বহনে সক্ষম। রোববার (২২ জুন) স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, জাহাজ দুটি হরমুজ প্রণালীতে প্রবেশ করলেও কিছুক্ষণ পরই দিক পরিবর্তন করে নিরাপদ রুটে চলে যায়। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক এই ঘটনা আন্তর্জাতিক তেলবাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং পরিবহনের বিকল্প রুট নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করতে পারে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি খাতকে। এদিকে ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, দেশটির পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজকে বলেন, 'আমি বেইজিংয়ের চীন সরকারকে অনুরোধ করবো—তারা যেন ইরানকে ফোন করে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। কারণ, চীন এই প্রণালী ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণে তেল আমদানি করে।' রুবিও আরও বলেন, 'যদি ইরান সত্যিই হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে, তাহলে সেটা হবে একটি ভয়াবহ ভুল। এটি ইরানের অর্থনৈতিক আত্মহননের শামিল হবে।' বিশ্বজুড়ে জ্বালানি পরিবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী দিয়ে বিশ্বের প্রায় ২৫ শতাংশ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবাহিত হয়। এই পথ বন্ধ হয়ে গেলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জ্বালানির দাম বেড়ে যেতে পারে আকাশচুম্বীভাবে, যার প্রভাব পড়বে চীন, ভারত, জাপানসহ বড় আমদানিকারক দেশগুলোতে। বিশ্লেষকেরা সতর্ক করছেন, পরিস্থিতি যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে এই সংকট বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা ও জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এমএইচ/  |