নত হবে না ইরান, ভয়াবহ ১০ বিপর্যয়ে কাঁপছে ইসরায়েল
প্রকাশ:
২১ জুন, ২০২৫, ১২:০৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ইরান-ইসরায়েল সরাসরি সংঘাত এখন কেবল দুটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—এটি পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ভয়াবহ সংকটের আভাস দিচ্ছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই একের পর এক ক্ষতির মুখে পড়ছে ইসরায়েল। সামরিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও মানবিক—প্রতিটি খাতে দেশটি চরম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। সামরিক বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন: যুদ্ধ যত দীর্ঘ হবে, ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতিও তত গভীর হবে। ইসরায়েল এই যুদ্ধে প্রতিদিন প্রায় ৭০০–৯০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করছে। যুদ্ধের শুরুতে মাত্র দুইদিনেই ব্যয় হয়েছিল ১.৪৫ বিলিয়ন ডলার। এতে বাজেটের উপর বিপুল চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ‘ডেভিড’স স্লিং’, ‘আয়রন ডোম’, এবং ‘অ্যারো সিস্টেম’-এর মতো অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা অস্ত্রগুলোর প্রতিটি ইউনিটের খরচ মিলিয়ন ডলারে। এর ঘাটতি পূরণ করতেই বাজেট বাড়াতে হচ্ছে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্যাস স্টোরেজ, পানি শোধনাগার ও হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। দক্ষিণ ইসরায়েলের সরোকা মেডিকেল সেন্টারে আহত শতাধিক মানুষ এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট শিল্প উৎপাদনে বড় ধাক্কা দিয়েছে। সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে কার্যক্রম হ্রাস পেয়েছে, বিমার খরচ তিনগুণ বেড়েছে। স্টক মার্কেটে ধস ও বিদেশি বিনিয়োগ হ্রাস ইসরায়েলি অর্থনীতিকে টালমাটাল করে দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, স্কুল-কলেজ বন্ধ, বিমান চলাচলে বিঘ্ন—সবমিলিয়ে সাধারণ জীবনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যুদ্ধের খরচ সামলাতে গিয়ে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বাজেট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি দীর্ঘমেয়াদে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ইসরায়েল এখন মার্কিন অস্ত্র ও প্রযুক্তির ওপর একচেটিয়া নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যদি যুক্তরাষ্ট্র কোনো কারণে সহায়তা হ্রাস করে, তাহলে অস্ত্র ঘাটতি সামরিক ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নাগরিকদের মধ্যে হতাশা, আশ্রয়কেন্দ্রের ক্লান্তি ও যুদ্ধকালীন অনিশ্চয়তা এক ধরনের মনোবলহীনতা সৃষ্টি করছে, যা যুদ্ধক্ষমতাকেও দুর্বল করে। যুদ্ধের পেছনে যুক্তি দেখাতে গিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কূটনৈতিক সমর্থন হারাচ্ছে ইসরায়েল। জাতিসংঘ ও বহু মুসলিম দেশের নিন্দা এবং বর্জনের মুখে পড়তে হচ্ছে। ইরান বারবার জানিয়েছে, এখনো তারা পুরো শক্তি ব্যবহার করেনি। বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ দীর্ঘ হলে ইরান আরও ভয়াবহ পাল্টা আঘাত হানতে পারে। এনএইচ/ |