ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
প্রকাশ: ১৭ জুন, ২০২৫, ০৮:০৪ রাত
নিউজ ডেস্ক

ইরান মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে প্রায় ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলি আগ্রাসনের পাল্টা জবাব হিসেবে ইরান শনিবার (১৪ জুন) প্রথম মিসাইল হামলা চালায়। এরপর নতুন করে এই হামলা চালানো হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা বলয়ের বাইরে খোলা জায়গায় পড়েছে।”

এদিকে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের হার্জেলিয়া এলাকার গোয়েন্দা ভবন, মোসাদ ও আমান সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সদরদপ্তর লক্ষ্য করে সফল হামলা চালিয়েছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, মোসাদের একটি কেন্দ্র মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখনো সেখানে আগুন জ্বলছে।

গার্ড বাহিনী আরও জানায়, এই নির্ভুল হামলাগুলো ছিল ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩’-এর অংশ। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিশোধস্বরূপ এই আঘাতকে ‘সুনির্দিষ্ট ও বেদনাদায়ক’ বলে বর্ণনা করে তারা।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তেলআবিব মহানগর এলাকায় অন্তত পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এর একটি হার্জেলিয়ায় পড়েছে, যেখানে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা অবকাঠামো অবস্থিত।

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে এই উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর একাধিক হামলার পর এপ্রিল ২০২৪-এ ইরান সরাসরি ইসরায়েলের ওপর ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই ধারাবাহিক পাল্টাপাল্টি হামলা পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করতে পারে, যা বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহল উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেও এখন পর্যন্ত উভয় দেশই আগ্রাসী অবস্থানে রয়েছে।

এসএকে/