৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, বছরে যাচ্ছে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা
প্রকাশ:
০২ জুন, ২০২৫, ০১:৫৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
দেশে মুক্তিযোদ্ধার প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। ১৯৯৪ সালের সরকারি তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮৬ হাজার। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জনে। এর মধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার বলে জানিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। প্রতি মুক্তিযোদ্ধা বছরে গড় ভাতা পান কমপক্ষে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এ হিসাবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা বছরে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি সরকারি ভাতা নিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৩৫ জন। বয়সসীমা না পূরণসহ নানা অভিযোগে গেজেট বাতিলের সংখ্যা ১৫ বছরে ৩ হাজার ৯২৬ জন। এর মধ্যে ১২ বছর ৬ মাস বয়স না হওয়ায় ২ হাজার ১১১ জনের সনদ বাতিল হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমানে মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়া ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় ১০ হাজার টাকা করে, স্বাধীনতা দিবসে ৫ হাজার এবং পহেলা বৈশাখে ২ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হয়। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতে জামুকা সারা দেশে শুনানি কার্যক্রম শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে সোমবার (২ জুন) কুমিল্লা সার্কিট হাউজে ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে প্রথম দফার শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জামুকার মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন বলেন, “একজন মুক্তিযোদ্ধা আসল নাকি ভুয়া, তা ঢাকায় বসে যাচাই করা সম্ভব নয়। এজন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে যাচ্ছি। সেখানে প্রমাণ, সাক্ষ্য, নথিপত্র যাচাই করে সঠিক তথ্য নির্ধারণের চেষ্টা করা হবে।” উল্লেখ্য, বিগত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করেন। তার নির্দেশনায় জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে অভিযোগ সংগ্রহ ও প্রাথমিক যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় শুরু হচ্ছে এই গণশুনানি। [তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর, ২ জুন ২০২৫] এসএকে/ |