সচিবালয়ের স্থবিরতা জাতির জন্য অশনি সংকেত: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
প্রকাশ: ২৭ মে, ২০২৫, ০৫:৫৮ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো একটি দীর্ঘদিনের অনিয়ম, জবাবদিহিহীনতা ও জনসেবা বিচ্যুতির শিকার। এই বাস্তবতায় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা, শৃঙ্খলা ও কর্মদায়িত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত উদ্যোগ বলে মনে করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, একটি সুশাসিত রাষ্ট্রের জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা, যোগ্যতা ও দায়িত্বশীলতা অপরিহার্য। সেই লক্ষ্যেই প্রশাসনিক কাঠামোতে কিছু যুগোপযোগী সংস্কার প্রয়োজন ছিল, এবং সরকার সে উদ্যোগ নিয়েছে—যা নীতিগতভাবে ইতিবাচক।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, একই সঙ্গে আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, রাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে একটানা কর্মবিরতি ও অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

সচিবালয়ের কর্মক্ষমতা বন্ধ হওয়া মানে পুরো রাষ্ট্রীয় মেশিনারির অঙ্গহানির মতো ঘটনা। 

নেতৃদ্বয় আন্দোলনরত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা জনগণের প্রত্যাশা ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিন এবং অচলাবস্থা থেকে সরে এসে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে নিন।

তারাঁ বলেন, একইসঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহকেও আমরা আহ্বান জানাই—নিরপেক্ষতা ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে উত্থাপিত উদ্বেগগুলো আমলে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছান।

যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্ট করতে চাই— রাষ্ট্রের অগ্রগতির পথে প্রশাসনিক সংস্কার প্রয়োজন, তবে তা হতে হবে অংশগ্রহণমূলক ও বাস্তবসম্মত।

সরকারি অফিস ও দপ্তরে অচলাবস্থা সৃষ্টি করা কোনোভাবেই ন্যায্যতার পথ নয়।

কর্মচারীদের ন্যায্য অভিমত রাষ্ট্র সম্মান করবে, তবে তাদেরও উচিত হবে নিয়মতান্ত্রিক অবস্থান গ্রহণ।

আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন—রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীলতা, গঠনমূলক সংলাপ এবং রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার এড়ানো। দেশের বিদ্যমান অস্থিরতা থেকে উত্তরণের জন্য সব পক্ষের মধ্যে সচেতনতা ও সমঝোতা অপরিহার্য।

এমএইচ/