দেশবাসীর কাছে বিনা শর্তে ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির
প্রকাশ:
২৭ মে, ২০২৫, ০৪:৫০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমাদের কোনো আচরণে বা পারফরম্যান্সে কষ্ট পেয়ে থাকলে বিনা শর্তে ক্ষমা করে দেবেন। আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে- দল হিসেবে এমনটা কখনোই মনে করি না। প্রতিটি কর্মী বা দলের কারণে যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সবার কাছে বিনা শর্তে ক্ষমা চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী। ওই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, সত্যকে চেপে রাখা যায় না। সত্য মেঘের আড়াল ভেদ করে আলোর ঝলক নিয়ে আসে।’ জামায়াতের আমির বলেন, ‘জাতির অনেকগুলো বার্নিং ইস্যু এখনো আনরিসলভড। এখানেও সব রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজন জনগণের স্বার্থকে যেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায়, দেশবাসীর সমর্থন পেয়ে দেশের সেবা করার দায়িত্ব পেলে প্রতিশোধের রাজনীতি ও বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটাব। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব।’ শেখ হাসিনার আমলে তার দলের নেতাকর্মীরা ভয়ংকর জুলুমের শিকার হয়েছেন দাবি করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজানো, পাতানো আদালত এবং মিথ্যা সাক্ষ্যের মাধ্যমে কার্যত জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ টি এম আজহারের রায় সুবিচার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।’ এ মামলাগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে সীমাহীন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তার বইয়ে এটা স্বীকার করেছেন, কীভাবে বিচার বিভাগ ও সরকার মিলে বিচার নয়, বরং ঠান্ডা মাথায় খুন করার ছক আঁকা হয়েছে। একটি পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যেন কেউ প্রতিবাদ করতে না পারেন।’ জামায়াত আমির বলেন, ‘একেকটা রায়ের পর পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। এতে পরিবারগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।’ এই মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমারি ল’ কিংবা ‘ডমেস্টিক কাস্টমারি ল’ অনুসরণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তার আরও অভিযোগ, ‘যাদের ইশারায় কোর্ট পরিচালনা হতো, তাদের ইচ্ছাই এখানে মুখ্য ছিল। সেটি বৈধ হোক কিংবা অবৈধ।’ এমএইচ/ |