মানিকগঞ্জে ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের লোকজন
প্রকাশ:
২৬ মে, ২০২৫, ১১:০৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
পদ্মা, যমুনা, কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতী, গাজীখালিসহ ১৪টি নদী দ্বারা বেষ্টিত মানিকগঞ্জ জেলা। সারা বছর এসব অঞ্চলের নদীপাড়ের মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেও বর্ষার শুরু ও শেষের দিকে নদিভাঙন আতঙ্কে দিন কাটে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙন শুরু হলে নদীপাড়ের লোকজন ঘরবাড়ি বসতভিটা, ফসলি জমি হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। এ বছর বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে। জরুরিভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে অনেক ফসলি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সরেজমিনে দেখা যায় , দৌলতপুর উপজেলার চর কালিয়াপুর, বাঘুটিয়া, ভারাঙ্গাসহ অনেক এলাকা নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। সাটুরিয়া উপজেলার সনকা, পশ্চিম চর তিল্লী, আয়নাপুর, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বালিরটেক, চর বালিয়া বিলসহ বিভিন্ন স্থানে নদীর পানি বাড়লেই ভাঙন বেড়ে যায়। এছাড়া, হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর, কাঞ্চনপুর, সেলিমপুর ও সুতালড়ি নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। দৌলতপুরের বাঘুটিয়া এলাকার মোতাহার হোসেন বলেন, বৈশাখ মাস থেকেই আমরা নদীপারের মানুষ নদীভাঙনের আশঙ্কায় থাকি। আগুনে পুড়লেও কিছু থাকে, কিন্তু নদীতে ভাঙরে কিছুুই থাকে না। আমাদের বাড়ি দুইবার নদীতে বিলীন হয়েছে। একসময় পূর্বপুরুষের অনেক জমি ছিল। তারা সম্মানী লোক ছিলেন। কিন্তু বাড়ি ভাঙনের পর লোকজন তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। এখনই যদি নদী নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে কাজে লাগবে। পরে নদীতে স্রোত বেশি হলে তখন কোনো কাজেই সুফল আসে না। মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে নদীপাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর ভাঙনরোধে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে। এছাড়া, নদীভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক প্রকল্প গ্রহণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চলমান কাজ সমাপ্ত ও প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো অনুমোদিত হলে নদীভাঙনের হাত থেকে মানিকগঞ্জবাসী রক্ষা পাবে। এসএকে/ |