খেজুরের বিস্ময়কর গুণ
প্রকাশ:
২০ মে, ২০২৫, ০৯:২২ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
এমন একটা সময় ছিলো যখন শুধুমাত্র রোজার দিনেই বাজারে মিলতো খেজুর। তবে দিন বদলেছে, খেজুরের গুণ সম্পর্কে এখন অবগত সবাই। যে কারণে দেশের বাজারে বছরজুড়েই পাওয়া যায় মরুরর দেশের এই ফলটি। খেজুরে রয়েছে এমাইনো এসিড, প্রচুর শক্তি, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। খেজুর শরীরের প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। খেজুরের গুণের কারণে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ডায়েট ফুড’। এবার খেজুরের যাবতীয় পুষ্টিগুণ জেনে নেওয়া যাক-
খেজুর এক্ষেত্রে এক চমৎকার প্রতিরোধক হতে পারে। খেজুরে আছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা যা এই ‘এনার্জি’র উৎস। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আজ থেকে দুটো খেজুর রেখে দেখুন। দেখবেন সকালে যে প্রাণবন্ততা নিয়ে বেরিয়েছেন, সন্ধ্যায় যখন বাড়ি ফিরছেন, তখনও একইরকম প্রাণবন্ত অনুভব করবেন আপনি।
খেজুরের ‘ক্যাটাচিনস’ এন্টিঅক্সিডেন্টটি রক্তের ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল কমায়, বাড়ায় ‘ভালো’ কোলেস্টেরল। তাছাড়া খেজুর কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ করে যা রক্তনালীতে এথেরোসক্লেরোসিস ডিপোজিট হতে দেয়া না। সহজ ভাষায় ধমনীতে চর্বির স্তর জমতে দেয় না। অবশ্য খেজুরের এই উপকার ‘মেজুল’ প্রজাতির চেয়ে ‘হালাউয়ি’ প্রজাতির খেজুরে বেশি লক্ষণীয়।
‘আইসোফ্ল্যাভন’ নামে একটি উপাদান আছে খেজুরে (ফলের মধ্যে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ) যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। সেই সাথে ক্যারোটেনয়েডস নামে আরো একটি উপাদান আছে খেজুরে। হৃদরোগের ক্ষেত্রে এটাও কার্যকরী।
৪. রক্তচাপ কমায় তাছাড়া কিডনিতে পাথর জমারও একটা কারণ এই পটাশিয়ামের অভাব।
৬. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
৭. মস্তিষ্ককে উজ্জীবিত করে অস্ট্রেলিয়ায় পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে- খেজুর স্মৃতিশক্তি এবং শেখার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেছে খেজুর। আসলে খেজুরে থাকা নানা ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্টই এ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া বয়স হয়ে গেলে ব্রেনের যে ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়, খেজুর তার চমৎকার প্রতিরোধক। কারণ কর্টিসল এবং অক্সিডেন্ট নামে যেসব উপকরণের প্রভাবে এটা হয়, খেজুর তার প্রতিরোধ করে। ৮. পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য ইউনিভার্সিটি অব রচেস্টার মেডিকেল সেন্টারের এক গবেষণায় দেখা গেছে-দিনে মাত্র ২০-৩৫ গ্রাম খেজুর খেলেই তা যথেষ্ট মলকে নরম করার জন্যে, মলের খনি অনুপাতকে ঠিক রাখার জন্যে। যা কোষ্ঠকাঠিন্যকে প্রতিরোধ করে। ৯. ওজন কমায়, ওজন বাড়ায় আসলে খেজুরে আছে ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, রিবোফ্লোভিন, নিয়াসিন এবং আরো অনেক ধরনের পুষ্টি উপকরণ। এসবের মিলিত ফসল হলো মেটাবলিজম বাড়ানো। পরিণাম ওজন কমানো। এবং তা প্রাকৃতিকভাবে। কারণ কৃত্রিম বিভিন্ন উপায়ের কথা আমরা জানি যা সাময়িকভাবে ওজন কমালেও অচিরেই আবার তা ফিরে আসে। কিন্তু খেজুরের ক্ষেত্রে তা হয় না। কারণ হ্রাসকৃত ওজনে দেহকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে খেজুর সাহায্য করে। তাছাড়া খেজুর এমন একটি খাবার যা অল্প খেলেই তৃপ্তি হয়, ফলে বেশি খাওয়ার চাহিদা থাকে না। এবার ওজন বাড়ানো। হ্যাঁ, যদিও বেশিরভাগ মানুষেরই চিন্তা ওজন কমানো নিয়ে, কিছু মানুষ এমনও আছে যারা ওজন বাড়াতে চান। তাদের জন্যে খেজুর আদর্শ। ভেড়ার ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে- খেচুর বিচির ভূষি খেয়ে তাদের ওজন ৩০% পর্যন্ত বাড়ানো গেছে। অবশ্য মানুষের ক্ষেত্রেও এই গবেষণা প্রযোজ্য হবে কি না, তার জন্যে আরো গবেষণা দরকার। ১০. ত্বক সুন্দর করে খেজুরে আছে প্রচুর ভিটামিন, এন্টি অক্সিডেন্ট। যেমন, ভিটামিন ‘সি’ ত্বকের নমনীয়তা বাড়ায়। ভিটামিন ‘ডি’ বাড়ায় কমনীয়তা। অধিকন্তু খেজুর দেহের মেলানিনের মাত্রা কমিয়ে বয়সের চিহ্নকে দূরীভূত করে। তৈলাক্ত ত্বককে সংরক্ষণ করতেও সহায়তা করে খেজুর। ত্বকের কোনো রোগ থাকলে সেটাকেও ভালো করে খেজুর। ১১. চুল পড়া বন্ধ করে ১২. রক্তশূন্যতার সমস্যা ১৩. গর্ভবতী মা এবং খেজুর গর্ভাবস্থায় আরেকটি সমস্যা হয়, তা হলো- পাইলস। আর এর সমাধানই হলো আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া যা প্রচুর পরিমাণে আছে খেজুরে। জর্ডানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে- প্রসবের চার সপ্তাহ আগ পর্যন্ত যে মায়েরা পর্যাপ্ত খেজুর খেয়েছেন, প্রসবকালীন জটিলতা তাদের কম হয়েছে। সন্তানসম্ভবা মায়েদের জরায়ুর পেশী মজবুত করেছে খেজুর, সে প্রমাণও পাওয়া গেছে। ১৪. যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি ১৫. বাড়তি ভিটামিনের প্রয়োজন নেই নিয়মিত খেজুর খেলে আপনার বাড়তি ভিটামিন খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই- বলছেন এখন বিজ্ঞানীরা। যেভাবে খাবেন তবে খেজুর যেহেতু একটি মিষ্টি ফল এবং এতে ক্যালরির পরিমাণ বেশি, তাই এটি পরিমিত খাওয়াই উত্তম। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলেন, দিনে দুটি খেজুরই যথেষ্ট খেজুরের এই উপকারগুলো পাওয়ার জন্যে। এনএইচ/ |