সবকিছু এনজিও বা পশ্চিমাদের চোখে দেখলে খেলায় হেরে যাবেন
প্রকাশ:
১৮ মে, ২০২৫, ০৮:২৯ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ড. তুহিন মালিক অন্তর্বতী সরকার হচ্ছে অনেকটা সীমিত ওভার ইনিংসের খেলার মতো। ওভার সীমিত। বল সীমিত। রাউন্ড দা উইকেট খেলতে হবে। পিচের বাইরে বল ছুঁড়ে ওয়াইড খেলা বিপদজ্জনক। (১) চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গোটা দেশ উদ্বিগ্ন অসন্তুষ্ট প্রতিবাদমুখর। সরকারের সিদ্ধান্ত রহস্যজনক। বন্দর এখন আধুনিক প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশীয় ব্যবস্থাপনায় এটি এখন সম্পূর্ণ লাভজনক। তাহলে বিদেশিকে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কেন দিতে হবে? এর সাথে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত। (২) মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডর দিয়ে আমাদের দেশের মানুষের কী লাভ? সরকার আদৌ এটা পরিষ্কার করেনি। উপরন্ত সরকারের একেক জন একেক ধরনের কথা বলছে। যা রহস্যজনক। দেশের মানুষ চায় না আমাদের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পরুক। বৈশ্যিক ও আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক সংঘাতে আমরা কেউ জড়াতে চাই না। তারপরও সরকার কেন করিডর চাচ্ছে? (৩) নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা জাতিকে বিভক্তির মুখোমুখি করে দিয়েছে। কিছু প্রস্তাবনা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি, পারিবারিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও ধর্মীয় পারিবারিক আইনের সাথে চরমতম সাংঘর্ষিক। কিন্তু সরকার এ বিষয়টিকে উপেক্ষাই করে চলছে। ডক্টর ইউনূস আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। বৈশ্যিক পরিমণ্ডলের খেলোয়াড় কিন্তু দেশীয় ম্যাচ খেলার জন্য কতটা অভিজ্ঞ? উপরোল্লিখিত ইস্যুতে তা পরিষ্কার নয়। আপনি এনজিও পথিকৃত। এক্ষেত্রে আপনি জাতির জন্য নোবেল এনেছেন। আপনি বিশ্ব বরেণ্য। আপনি সবকিছু এনজিও-এর চোখে কিংবা পশ্চিমার চোখে দেখলে দেশের মাঠের খেলায় হেরে যাবেন। নিশ্চিত। চট্টগ্রাম বন্দর, রাখাইনে মানবিক করিডর এবং নৈতিকতা ও ধর্মীয় আইনের সাথে সাংঘর্ষিক নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা- এর কোনোটাই রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার কাঠামোর এজেন্ডা না। সঠিক এজেন্ডায় থাকুন। রাউন্ড দা উইকেট বল করুন। আমরা আপনাকে কোনোভাবেই হারাতে চাই না। লেখক: আইনজীবী, কলামিস্ট ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট এনএইচ/ |