‘নাগরিক কোয়ালিশনে’ নেই ইসলামি সংগঠন, সমালোচনা ও ক্ষোভ
প্রকাশ: ১১ মে, ২০২৫, ০২:৩২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ নাগরিক সমাজের সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবনা নিয়ে রোববার (১১ মে) যে সম্মেলনের আয়োজন করেছে সেখানে কোনো ইসলামি সংগঠনকে রাখা হয়নি। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। অনেক্ষে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

সমালোচকরা বলছেন, জুলাই বিপ্লব থেকে শুরু করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির আন্দোলন পর্যন্ত সবখানেই আলেম-উলামা ও মাদরাসাপড়ুয়ারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। অথচ সর্বদলীয় এবং সব ঘরানার মানুষকে এই সম্মেলনে দাওয়াত দিলেও রাখা হয়নি কোনো ইসলামি সংগঠনের নেতাদের।  

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদী দাওয়াতনামাটি ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেন- জুলাই ও পরবর্তী সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে রক্ত দিবে, দাবি আদায় করতে তীব্র তাপদাহে দিনের পর দিন রাজপথে পড়ে থাকবে মাদরাসার ছাত্র আর ইসলামি দলের নেতাকর্মীরা আর নাগরিকদের নিয়ে কোয়ালিশনের সময় তাদের জন্য কোনো স্পেস থাকবে না।

তিনি লেখেন- বিভিন্ন দল থেকে নাগরিক প্লাটফর্মের জন্য সদস্য নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হটাতে অসামান্য অবদান রাখা ইসলামী আন্দোলন, হেফাজত, অন্যান্য ইসলামী দল আর মাদরাসা ছাত্ররা এখনও নাগরিকদের কাতারে আসতে পারলো না। অথচ তারা বিগত আমলে সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার। তাদের ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থান আর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের আন্দোলন কথা ভাবাও যায় নাই।

এ বৈষম্যের তীব্র নিন্দা জানান আশরাফ মাহদী। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র আর সংস্কারের নামে কী কী হচ্ছে সবই নজরে রাখছেন বলে জানান তিনি। 

বিশিষ্ট ইসলামি আলোচক মাওলানা হাবিবুর রহমান মিছবাহ লেখেন-হুজুররা এবার অন্তত ভাড়া খাটার চিন্তা থেকে বের হয়ে আসুন! বহুজনকে বলেছি, গতরাতেও রিয়াদ ভাই, হাছিব, আল-আমীন টুটুল, ইমরান নূর ওদেরকে বলেছি— ‘নিষিদ্ধ দাবী আন্দোলন’ সাকসেস করবে হুজুররা কিন্তু সবচেয়ে অবহেলিতও থাকবে তারা। তারা শুধু বিনা পারিশ্রমিকে ভাড়াই খেটে যাবে!
 
তারেক হাসান নামে একজন লেখেন- হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ক‌ই? এই দুটো দলের কর্মী তো অনেক। হেফাজতে ইসলাম তেরো সাল থেকেই মাজলুম। জুলাই আন্দোলনে‌ও এদের ভূমিকা আপনারা দেখেছেন। মৌলবাদীদের আন্দোলন যেন না বলতে পারে, সেজন্য তখন তারা তেমন মিডিয়া ফোকাসে আসেনি বা লেবাস পরিবর্তন করে মাঠে ছিলো। চলমান আন্দোলনেও তাদের অবস্থান দেখেছেন।আরো বেশ কয়েকটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল এখানে রাখা যেতো। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, জমিয়ত, এদের রাখা যেতো। আন্দোলন, সংগ্রাম করবে এরা, আর এদের বাদ দিয়ে‌ই সংস্কার? এইসব বৈষম্যের তীব্র নিন্দা জানাই।

মুহাম্মদ তানভীরুল ইসলাম লেখেন- সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবনায় হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত আর ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর প্রতিনিধি নেই কেন? ফ্যাসিবাদী শক্তি সমূলে ধ্বংস করার এবং বৈষম্য-মুক্তির জন্য যাদের রক্ত-ঘাম ঝরিয়েছে তাদের এভাবে অবহেলা করা মোটেই ঠিক হলো না।

এসএকে/