হজে দোয়া কবুলের ১৬ জায়গা
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৪১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

|| আয়েশা চৌধুরী ||

হজের আভিধানিক অর্থ সংকল্প করা। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, হজের জন্য নির্ধারিত দিনসমূহে তথা ৮ যিলহজ্জ থেকে ১২ যিলহজ তারিখে বায়তুল্লাহ, মিনা, আরাফাহ, মুযদালিফাহ, জমারাহ ও সাফা-মারওয়ায় শরিয়াহ নির্দেশিত বিধানাবলি পালন করাকে হজ বলে।

হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজ করলো এবং হজ পালনের সময় কোনো ধরনের অশালীন কথা ও কাজ কিংবা কোনো গুনাহে লিপ্ত হলো না, সে যেন নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করলো। (বুখারি : ১৫২১)

হজে মুমিন বান্দার হৃদয়ে থাকে আল্লাহর প্রেম। আল্লাহর ভালোবাসা। হজের সময়ে দুয়া কবুল হয়। দুয়া কবুলের হাজারো মুহূর্ত আছে। আছে দোয়া কবুলের গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থান। আমি কিছু স্থানের সঙ্গে হাজিদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। নিচের সবগুলো স্থানে খুব বিনয়ের সঙ্গে দোয়া করবেন। এই সব স্থানে দুয়া কবুলের বিষয়ে কুরআন-সুন্নায় নানাভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। স্থানগুলো হচ্ছে-
১. মাতাফ : তাওয়াফ করার স্থান।
২. মুলতাযাম : হাজরে আসওয়াদ থেকে বায়তুল্লাহর দরজা পর্যন্ত স্থান।
৩. হাতিমে কাবা : কাবাঘর সংলগ্ন উত্তর দিকের প্রাচীরঘেরা স্থান।
৪. মিজাবে রহমতের নিচে।
৫. কাবা ঘরের ভিতরে।
৬. মসজিদে হারামের বাবুস সালামে প্রবেশের সময়।
৭. জমজম পানি পান করার আগে ও পরে।
৮. মাকামে ইব্রাহিমের কাছে।
৯. সায়ী করার সময় - সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে।
১০. সায়ী করার সময় সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝখানে।
১১. সায়ী করার সময় যখন বাইতুল্লাহর দিকে নজর পড়ে।
১২. তাওয়াফের সময় - রুকনে ইয়ামেনি ও হাজরে আসওয়াদের মাঝখানে।
১৩. আরাফার ময়দানে। (৯ই যিলহজ্জ, ইহরাম অবস্থায়)
১৪. মুযদালিফার ময়দানে। (৯ই যিলহজ দিবাগত রাত ও ১০ই যিলহজ সুবহে সাদিক থেকে ফজর পর্যন্ত)
১৫. মিনার ময়দানে। (হজের সময়)
১৬. মিনার মসজিদে খায়েফে ও কংকর মারার স্থানে।

লেখক : স্বত্বাধিকারী, হজ উইথ আয়েশা

এমএইচ/