ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে সিরিয়া
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৫৯ সকাল
নিউজ ডেস্ক

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে সিরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ড’-এ যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে এবং বাকি শর্তগুলো নিয়ে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে। সিরিয়ার এক সরকারি সূত্র জানায়, যেসব আরব দেশ এই চুক্তিতে অংশ নিয়েছে—যেমন বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত—তাদের কোনো ভূখণ্ড ইসরায়েলের দখলে নেই, কিন্তু সিরিয়ার গোলান মালভূমি এখনো ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। এ অবস্থায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কোনো সুযোগ নেই।

তবে, সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা এই অঞ্চলের কোনো পক্ষের জন্য হুমকি হবে না।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল—তাহরিরুশ শাম (এইচটিএস) গোষ্ঠী এবং বিদেশি যোদ্ধাদের সরানো, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করা এবং রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা।

সম্প্রতি ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন কংগ্রেসম্যান কোরি মিলস জানান, তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ শর’আর সঙ্গে ৯০ মিনিটের এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মিলস জানান, তিনি আহমদ শর’আরকে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগে সিরিয়াকে অবশ্যই রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করতে হবে, এইচটিএস গোষ্ঠীকে নিরস্ত করতে হবে, এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা উদ্বেগ দূর করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে ইসরায়েল, এবং বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আরও কিছু এলাকা দখল করে নেয়। এরপর ইসরায়েল সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা ও অবকাঠামো ধ্বংস করে। এই প্রেক্ষাপটে সিরিয়া বর্তমানে কঠিন কূটনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।

এনএইচ/