মানবজাতির সর্বোত্তম আদর্শ হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর প্রতিটি কাজেই রয়েছে আমাদের জন্য পথনির্দেশ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সকালবেলার রুটিন অনুসরণ করলে যেমন দ্বীন পালন সহজ হয়, তেমনি আসে দুনিয়ার সাফল্যও। হাদীস ও সিরাত গ্রন্থ থেকে পাওয়া যায় তাঁর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সকালের অভ্যাস, যা আজকের মুসলমানদের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
১. ফজরের নামাজ ও মসজিদে জামাত
প্রিয়নবি (সা.) ফজরের নামাজ সর্বদা জামাতে আদায় করতেন এবং সাহাবিদেরও তা করার নির্দেশ দিতেন।
হাদীস:
“ফজরের দুই রাকাত সুন্নত দুনিয়া ও দুনিয়ার সমস্ত সম্পদের চেয়েও উত্তম।” (মুসলিম)
২. নামাজের পর আল্লাহর জিকির
ফজরের পর প্রফেট (সা.) আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকতেন। তাসবিহ, তাহমিদ, তাকবির ও ইস্তিগফার পড়তেন।
৩. সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে ইবাদত
রাসূল (সা.) ফজরের নামাজের পর সূর্য ওঠা পর্যন্ত বসে যিকির করতেন।
হাদীস:
“যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে পড়ে বসে বসে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং সূর্যোদয়ের পর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে, সে পূর্ণ হজ ও উমরার সাওয়াব পায়।” (তিরমিযি)
৪. সকাল সকাল কাজ শুরু করা
রাসূল (সা.) সকালে কাজে বের হওয়াকে বরকতের উৎস বলেছেন।
হাদীস:
“হে আল্লাহ! আমার উম্মতের সকালের সময়টিকে বরকতময় করে দাও।” (তিরমিযি)
তাই, তিনি সাহাবিদের সকালেই ব্যবসা, খেতখামার বা কর্মক্ষেত্রে বের হওয়ার উৎসাহ দিতেন।
৫. পরিচ্ছন্নতা ও আত্মউন্নয়ন
সকালবেলায় ওজু, মিসওয়াক, ও সুন্নত মোতাবেক পরিচ্ছন্নতা পালন করতেন। তাঁর পোশাক পরিচ্ছদ, ঘ্রাণ ব্যবহার, এবং হাসিমুখে মানুষের সাথে দেখা করাও ছিলো সকালবেলার রুটিনের অংশ।
এনএইচ/