
| 	
        
			
							
			
			  এক গ্রামে ৫৫ আলেম, ৮০ হাফেজে কুরআন!  
			
			
	
			
										প্রকাশ:
										০৯ এপ্রিল, ২০২৫,  ০৬:৩২ বিকাল
					 
			
			
			
			নিউজ ডেস্ক  | 
		
			
			
			
			
			 
	   
	      
 কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের দুটি গ্রাম ভাটি ও দড়ি গাঙ্গাটিয়া। নামে দুটি হলেও মূলত এক গ্রাম। কারণ, তাদের দৈনন্দিন চলাফেরা, কাজকর্ম বাজারহাট সবকিছু একসঙ্গেই হয়। তাছাড়া একেবারে লাগোয়া হওয়ার কারণে অনেকে এক গ্রামই মনে করেন। এই গ্রামটি আলেমদের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এই গ্রামে ৫৫ জন আলেম, ৮০ জন হাফেজে কুরআন এবং শতাধিক তালেবে ইলম বিভিন্ন মাদরাসায় অধ্যয়নরত। তাদের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য, সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে ‘ইত্তিহাদুল ওলামা ওয়াত্বালাবা এসোসিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন। সংগঠনের সভাপতি মুফতি মাহবুবুর রহমান নোমানী এবং সেক্রেটারি মুফতি হেদায়েতুল্লাহ তোরাবি। সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর সিরাত মাহফিল কিংবা তাফসিরুল কুরআন মাহফিলসহ বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক আয়োজন করা হয়। এবার করা হয়েছে এক ব্যতিক্রমী আয়োজন। বয়স্ক মুরব্বিদের জন্য সহিহ-শুদ্ধভাবে নামাজের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় পবিত্র মাহে রমজানে। অতঃপর রমজানের পর ৫ এপ্রিল শনিবারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওলামা সংবর্ধনা, ইসলামি মহাসম্মেলন ও ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। হিফজুল কুরআন, হামদ্ - নাত, গজল, ইসলামি সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, সাধারণ জ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। প্রতিযোগিতার নতুন বিষয় ছিল বয়স্ক মুরব্বিদের শুদ্ধভাবে নামাজ প্রদর্শন। বাদ মাগরিব মাহফিলের বিশেষ মেহমান হাফেজ মাওলানা শুয়াইব বিন আব্দুর রউফ বয়ান শেষ করে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। বাদ এশা বয়ান পেশ করেন প্রধান বক্তা, বিশিষ্ট ক্বারী ও ওয়ায়েজ মুফতি শফিউল্লাহ। সব শেষে মাহফিলের প্রধান মেহমান, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরার হাদিস বিভাগের প্রধান, মুফতি রফিকুল ইসলাম আল-মাদানী বয়ান পেশ করেন এবং ওলামাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত জনতা উৎসুক নয়নে আনন্দ উপভোগ করেন। মুফতি রফিকুল ইসলাম আল-মাদানী বলেন, অজপাড়া এই গ্রামে এত অধিক পরিমাণে আলেম এবং হাফেজের জন্ম হওয়া আল্লাহ পাকের বিশেষ নেয়ামত ও রহমত। গ্রামবাসীর উচিত এই নেয়ামতের যথাযথ কদর করা। এমএইচ/  |