চাপ নেই পাটুরিয়ায়, স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ
প্রকাশ:
১৪ জুন, ২০২৪, ০৩:৩৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
ঈদযাত্রায় চাপ নেই পাটুরিয়ায়, ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে মানুষ শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক(ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ এসব তথ্য জানিয়েছেন। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নৌপথ। বছরে দুটি ঈদসহ যেকোনো উৎসবের সময় এই ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন আর যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল নিত্যদিনের। প্রায় দুই বছর আগে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমে গেছে এই রুটে। ফলে ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিতে পদ্মা পারাপার হচ্ছে যানবাহন। ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথ হয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। তবে ঘাট এলাকায় যানবাহনের তেমন চাপ না থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি ও লঞ্চে করে নদী পার হতে পারছেন তারা। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে পদ্মা নদী পারাপারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করছে। অন্যদিকে যাত্রীদের পারাপারে ৩৩টি লঞ্চের মধ্যে পাটুরিয়ায় চলাচল করছে ১৯টি লঞ্চ আর আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে চলছে ১৪টি। রাজধানী ঢাকা, আশুলিয়া, সাভার নবীনগরসহ আশপাশের যাত্রীরা বাসে করে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আসছেন। এরপর লঞ্চে ও ফেরির টিকিট কেটে নদী পার হচ্ছেন। তবে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের তেমন চাপ না থাকায় স্বস্তিতেই নদী পার হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে ঘরমুখো এসব মানুষ। রাসেল নামে একযাত্রী জানান, দুই বছর আগেও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদী পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু এখন আর সেই চিত্র নেই, ঘাটে আসার পরপরই ফেরিতে বা লঞ্চে উঠতে পারছি। ঘাট পার হতে এখন আর ভোগান্তিতে পড়তে হয় না। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান,ঈদযাত্রায় ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীদের নিরাপদে নদী পারাপার করার জন্য ঘাট কর্তপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নৌবহরে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় কোনো যাত্রী ও যানবাহনকে দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। যাত্রী ও যানবাহনগুলো ঘাটে আসার পর পরই ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। যার ফলে ভোগান্তি ছাড়াই গ্রামের বাড়ি ফিরছে মানুষ। টিএইচএ/ |