গরমে চোখের রোগ এড়াতে করণীয়
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:২০ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

কয়েকদিন ধরেই দেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমের সঙ্গে বাড়ছে নানান রোগের ঝুঁকি। এই সময়ে অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন। তাই সুস্থ থাকতে বাড়তি সতর্কতা দরকার। আমাদের শরীরের সংবেদনশীল অঙ্গ চোখ। এই আবহাওয়ায় শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো চোখেরও যত্নের প্রয়োজন। কিছু সাবধানতা মেনে চলতে হবে গরমে চোখ সুস্থ রাখার জন্য। এ বিষয়ে কথা বলেছেন যশোর চক্ষু ক্লিনিক অ্যান্ড ফেকো সেন্টারের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফেকো সার্জন ডা. আহসান কবির। 

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় গরমকালে চোখের অ্যালার্জি ও ক্ষেত্রবিশেষ চোখ ওঠা রোগে অনেকেই আক্রান্ত হন। অ্যালার্জি সাধারণত শিশুদের বা অল্প বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ঠিক কী কারণে এমন হয়, তার সঠিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না। এ কারণে আবহাওয়াগত কারণকেই দায়ী করা হয়।

গ্রীষ্মকালে বাতাসে নানা রকম ধুলার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা, পরাগ বা রেণু ভেসে বেড়ায়। মূলত এ কারণেই অ্যালার্জির প্রকোপ বেড়ে যায়। এ রোগের লক্ষণগুলো হলো চোখ খচখচ করা, পানি আসা, চোখ চুলকানি, লাল হয়ে চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, সুতার মতো পিচুটি আসা এবং অনেক ক্ষেত্রে চোখে দৃষ্টি ঝাপসাও হতে পারে। এর সঙ্গে যদি জীবাণু সংক্রমিত হয়, তাহলে ঘুম থেকে উঠলে চোখ খোলা যায় না। ময়লা কেতোরে চোখ ভরে যায় (যা চোখ ওঠা পর্যায়ভুক্ত)। এ ছাড়া গরমকালে বাতাসে জলীয় বাষ্প কমলে চোখের শুষ্কতা দেখা যায়। অ্যালার্জেন থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। সাধারণত আমাদের চারপাশে সব থেকে বেশি যেসব অ্যালার্জেন ঘুরে বেড়ায়, সেগুলো হলো ফুলের রেণু, ধূলিকণা, ঝুরো মাটি প্রভৃতি।

কড়া রোদে চোখের ক্ষতি হতে পারে। যেমন– চোখের লেন্সে ঘোলা বা ছানি পড়া অন্যতম। এ ছাড়া চোখের স্নায়ুস্তরেও সমস্যা হতে পারে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজন ছাড়া গরমে ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। গরমের দিনে বাইরে বেরোলেই সানগ্লাস ও মাস্কে মুখ ঢাকতে হবে। সকাল ও সন্ধ্যার বাতাসে অ্যালার্জেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। দূষণ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন গাড়ির ধোঁয়া, সিগারেটের ধোঁয়া থেকে অ্যালার্জির উপসর্গ কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে। তা ছাড়া বিভিন্ন মৌসুমি ফলগাছের নিচে যাওয়া থেকে বিরত থাকা, পুকুরে বা খালের পানিতে গোসল করা এড়াতে হবে।

যদি চোখে কোনো ধরনের সমস্যা হয় তাহলে চোখ ডলাডলি করা যাবে না।  একটা পরিষ্কার কাপড়ে কয়েক টুকরা বরফ জড়িয়ে ৫ মিনিট চোখে ধরে রাখলে আরাম লাগবে। চুলকানি ভাবটা চলে যাবে, আবার লালচে ভাবটাও কেটে যাবে। যদি এর পরেও সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে সময় নষ্ট না করে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

টিএইচএ/