এমভি আব্দুল্লাহর মুক্তিপণ নিয়ে তীরে উঠতেই গ্রেফতার ৮ জলদস্যু
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল, ২০২৪, ০৭:২৮ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

মুক্তিপণ নিয়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ছেড়ে দিয়ে তীরে উঠতেই অন্তত আট জলদস্যুকে দেশটির পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘গারোই’ অনলাইনের প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। 

সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডের একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ‘গারোই’ নামের ওই অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে রাখা আট দস্যুকে গ্রেফতার করেছে পান্টল্যান্ড পুলিশ। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে, ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দুই দস্যু জানিয়েছে, দুইদিন আগেই মুক্তিপণ হিসেবে তাদের ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হয়। এই অর্থগুলো নকল কিনা পরবর্তীতে সেটি যাচাই-বাছাই করে তারা। এরপর নিজেদের মধ্যে অর্থগুলো ভাগ করে তারা জাহাজ থেকে চলে যায়।
মুক্তিপণের মাধ্যমে জাহাজ ছাড়িয়ে নেওয়ার বিষয়টি দস্যুদের আরও জাহাজ ছিনতাইয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পুন্টল্যান্ডের আরেক পুলিশ কর্মকর্তা। এদিকে, গত তিন মাস ধরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দস্যুরা সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-সাবাবের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সোমালিয়ার সরকার। দস্যুতা বন্ধ করতে জলদসুদের গ্রেফতার এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

পুন্টল্যান্ড পুলিশ ফোর্সের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সোমালিয়ার সংবাদমাধ্যম গারোয়ে অনলাইনকে জানিয়েছেন, জলদস্যুরা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে আটক করেছিল।

তবে জলদস্যুদেরকে দেওয়া মুক্তিপণের অর্থ উদ্ধার করা গেছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুন্টল্যান্ডের এক পুলিশ কর্মকর্তা গারোওয়ে অনলাইনকে বলেন, মুক্তিপণ আদায়ের এই চর্চা জলদস্যুদের তৎপরতাকে আরও উৎসাহিত করতে পারে। পুন্টল্যান্ডের উপকূলরেখা জলদস্যুদের টার্গেটে রয়েছে।

মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ২৩ জন ক্রুসহ বাংলাদেশি জাহাজটি অপহরণ করা হয়েছিল। পুন্টল্যান্ড মেরিন পুলিশ ফোর্স সোমালিয়ার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তায় উপকূলরেখা বরাবর নজরদারি বাড়িয়েছে। এই প্রচেষ্টা এই অঞ্চলকে অনেকাংশে স্থিতিশীল করছে।

হাআমা/