স্কুল-মাদরাসা সমন্বিত সিলেবাসে পড়ে দাওরায় মেধাতালিকা স্থান লাভ মাদরাসা দারুর রাশাদ’র  
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:৪৪ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

|| হাসান আল মাহমুদ ||

দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ অথরিটি আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর অধীন ১৪৪৫ হিজরী/২০২৪ ঈসাব্দের দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমান) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পাশের হার ৮৮.৩৭ %।

গত সোমবার ২৮ রমজান (৮ এপ্রিল ২০২৪) দুপুর ১২টর পর উত্তর যাত্রাবাড়ী বিবির বাগিচা ৮০/এ  হাসিব টাওয়ার বোর্ডটির অফিস মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান। হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটি, পরীক্ষা উপকমিটি ও নিরীক্ষকবৃন্দের যৌথ সভায় এ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

ফলাফলে দেখা যায় রাজধানীর মিরপুর-১২ তে অবস্থিত মাদরাসা দারুর রাশাদ সারাদেশে ১৬ তম স্থান লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির দাওরায়ে হাদিসে মোট ৩৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন মুমতায (স্টারমার্ক) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়া ১৫ জন জায়্যিদ জিদ্দান লাভ করেছে।

হাইআতুল উলয়াতে এমন সাফল্যে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করে মাদরাসা দারুর রাশাদ-এর শিক্ষা সচিব মাওলানা লিয়াকত আলী আওয়ার ইসলামকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জেনারেল ও কওমি শিক্ষা সমন্বিত সিলেবাসের। যে ছাত্র এবার হাইআতে ১৬ তম স্থান লাভ করেছে, সে এবছর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছে, তাতে সেও  A+ লাভ করেছে। যার ফলে তার এবছর প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। শশমাহী (২য় সামিয়ক) পরীক্ষার কিছুদিন আগ পর্যন্ত এই ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। শুধু সে না, আমাদের রাশাদ একাডেমির ১৫ জন ছাত্র ছিল দাওরা পরীক্ষার্থী, যারা ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষাও দিয়েছে এবছর।  এই ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন মুমতায ও ১ জন মেধাতালিকা লাভ করেছে।

তিনি বলেন, ‘মাদরাসা এবং স্কুল এক সাথে সমন্বিত শিক্ষায় দুই সিলেবাস পড়ে যে ভালো ফলাফলও লাভ করা যায়, মাদরাসা দারুর রাশাদ-এর এমন ফলাফল তার একটা প্রমাণ’।

‘শুধু এ বছরই নয়, প্রতি বছরই আলহামদুলিল্লাহ আমাদের দারুর রাশাদের ফলাফল ভালো হয়ে আসছে, এজন্য ছাত্র-উস্তাদ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা মহান আল্লাহ তায়ালার ’।- ‍যুক্ত করেন তিনি। 

উল্লেখ্য, সারা বাংলাদেশে ৬টি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ে গঠিত আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিআতিল কাওমিয়া বাংলাদেশ-এর অধীনে অনুষ্ঠিত ১৪৪৫ হিজরী কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মোট ৩১,৯৯৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। যাদের মধ্যে মোট ১৬৪৭ জন শিক্ষার্থী মুমতায (স্টারমার্ক) পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

হাআমা/